হে অর্থ! নিষ্ঠুর তুমি, নির্দয় পাষাণ!
পদে পদে তুমি মোরে, কর অপমান।
সুন্দর ধরায় তুমি, হয়েছো জঞ্জাল,
কাউকে করেছো ধনী, কাউকে কাঙ্গাল।
ধনী-গরীবের মাঝে যত ব্যবধান;
সবই হয়েছে শুধু, তোমারী কারণ।
তুমি তো কাউকে দাও খ্রীস্টের সম্মান,
কাউকে কর আবার, সদা অপমান।
কাউকে অচল কর, কাউকে সচল;
তোমারী কারণে সারা বিশ্বে কোলাহল।
ধনী-গরীব সবার, তুমিই অভাব;
পাঁকা ধানে মই দেয়া তোমার স্বভাব।
তুমি কাউকে বড় হতে, দাও প্রেরণা; '
মীর জাফর' হলে কেহ তব ছলনা।
মানুষ তো নিত্য করে তোমারী সাধনা,
তবু কেন এত তুমি সংকীর্ণ মনা?
তুমি কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ;
রাজা ও প্রজা সবার, তুমি মহারাজ।
তোমার জন্যে যত কষ্ট, যত আয়োজন;
মানুষকে কর তুমি পশুর সমান।
শত দোষ চাপা পড়ে তোমার বদৌলে,
বাঘ দুগ্ধ কেনা যায়, শুধু তুমি হলে।
তোমার রহস্য কভু বুঝিতে না পারি,
সর্ব কাজে দেখি সদা তব বাহাদুরী।
দরিদ্র বিশ্বে শুধু তব হাকাকার!
তুমি হীনে হচ্ছি মোরা শোষন শিকার!
সিংহভাগ মানুষেরে করে অবহেলা,
মুষ্টিমেয় লোক নিয়ে মজিয়েছো খেলা।
সর্বগুণে গরীয়সী, সর্বদোষে দোষী,
ভাল-মন্দের বিচারে হত তব ফাঁসী।।