কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
যৌবনে এক ষোড়শী ডেকে ছিলো পূর্ণিমার জোছনায়
কিছু বলবে বলে নিয়েছিলো দ্রুম কাননে বকুল তলায়,
ধরিয়ে দিয়েছিল শঙ্কিত হাতে একটা বকুলের মালা
শুকিয়ে গেছে সে মালা, স্মৃতি আজও অহর্নিশ জ্বালায়!
সাপের মত মসৃণ দেহ খানি ছিলো তার
স্ফীত বক্ষ খানি ছিলো যেন আকা ছবি।
দেহের উঁচুনিচু গিরিখাত ছিলো প্রলুব্ধ কর
তার জন্য ঘরত্যাগী হলাম ‘কলম ভাঙা কবি’!
ঝর্ণার মত রিনঝিন চলা, আকাশ ব্যপ্তি হৃদয়
চোখ দুটো ছিলো হরিণী টানা টানা,
লজ্জায় লজ্জাবতী লতা, রাঙা ছিলো ‘গাল’
বক্ষোজ করতো উঠানামা, তাকাতে ছিলো মানা!
ওষ্ঠ ছিলো কমলা কোয়া গোলাপ পাপড়ি থেকে লাল
মেয়ে তো নয় স্বর্গের অপ্সরা, হলদে পাখীর ছা!
পলক তার খঞ্জন ডোরাকাটা হারিণী লুকায়
অঙ্গ তরঙ্গে ব্যাকুল কামনায় যতোই ছুঁয়েছি, করেনি রা!
হাটলে নিতম্ব তোলে পিয়ানোর ঝংকার
পথিক হোঁচট খেতো চোখ তার উঁচুনিচু নামা,
সেদিন এ হৃদয় হয়েছিলো লান্ড ভন্ড কারো ডাকে
আজ পঞ্চাষোর্ধে তেমন জোছনায় পড়ছি তোমার ‘শাহনামা’!
হে সেদিনের ষোড়শী, তুমি দিয়ে গেলে ‘বিরহ’
ঘর বাঁধলে না বলে আজ আমি ছন্নছাড়া ‘কবি’,
তোমায় না পাওয়ায় সঙ্গী আমার কবিতার পান্ডুলিপি
তুমি ধ্যান, তুমি স্মৃতি, আকি কবিতায় তোমার ছবি!!