কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
যে কোন সময় মৃত্যুর শীতল হাত ছুতে পারে
কাল, মহাকালের অমোঘ অনিবার্য নিয়ম যূগযূগ ধরে!
কার সাধ্যি অস্বীকার করে, তবু মানুষ পাপে ডুবে মরে
নিরব নিথর দেহ,আলো বায়ু বহিদ্র্বার বাতায়নহীন কবরে!
মসজিদ মন্দির গীর্জায় ধর্ষণ, মানব পাপে নিকৃষ্ট উদাহরণ
ভূমিদস্যুতা, এতিমের হক মারা, হিংসা-বিদ্বেষ সুদ ঘুষ দুর্বৃত্তায়ন!
নিত্যদিনে মানব কর্মের আছে সহস্র শত উদাহরণ
অজানা দিনক্ষণ, কখন আসবে সমণ,নির্ঘাৎ যেতে হবে, ছকে বাঁধা মানব জীবন!
সময় হলে চলে যেতে হয়, নক্ষত্র পতনের থেকে স্বল্প সময়
ধনী-গরিব হিন্দু-মুসলমান সাদা-কালো শবভুক শিয়ালের ও, তোমায় আমায়!
ক্রুর হাসি হেসে ‘আসেত’ তার বিরস হিমশীতল হাত বাড়ায়
আর্তি মাখা নিঃসঙ্গ বিষাদময় দৃষ্টিতে যত থাকো তাকায়!
সুযোগের পুষ্প পুটে, খেয়েছো লুটে পুটে, ফ্যাল্ট গাড়ী গুলশান ধানমন্ডি বাড়ী
নিয়েছো গরীব এতিম অসহায় বানভাসি ত্রানের অর্থ কাড়ি,
শেষ ডাকে চারিদিকে ফাঁকা, তুমি একা-একা, মাউন্ট এলিজাবেথ বা এ্যাপোলো হাসপাতাল
দান্তি বড়ই নিষ্ঠুর, জান কবজে নির্ভুল, নিথর দেহ ফেলে যাবে চলে অজানা কৃষ্ণ গহ্বরের অতল!
রূপ-যৌবন নামযশ , অর্থকড়ি সেদিন তোমা সনে যাবে না কেহ
শূন্য হস্তে শ্বেত বস্ত্রে, চার জনের কাঁধে চড়বে অসাড় সে দেহ,
হয়তো-বা পুড়বে শ্মশানে না-হয় দরজা-জানালা বিহীন ঘর
ছেলে-মেয়ে দেবে না সাড়ে তিন হাত জায়গা, ফেলে আসবে দূর বাগানে খুড়ে কবর!
মানবে না তোমার ওয়াছিয়ত, বসে যাবে বন্টনে তোমার সম্পদ
মহা খুশি তোমার রক্তের ধনেরা, বিদায় হয়েছে জঞ্জাল আপদ!