কলমেঃ দেবিকা রানী হালদার।
বছর ঘুরে এলো আবার রমজানের সেই ঈদ
আনন্দের ঐ ফল্গুধারায় চোখেতে নাই নিদ!
আতর গোলাপ সুগন্ধি মেখে যাচ্ছে সবে মাঠে
ইঁট ভাঙা জয়গুনের মার, হাতুড়ি ইটে খাটে!
সবার জন্য ঈদ কি সমান, আনন্দ সুখ বাটে
কেউ যায় নামাজ পড়তে, কেউ মাঠে ঘাটে!
কেউ খায় কোর্মা পোলাও বন্ধু বান্ধব সাথ
কেউ খায় গত রাতের জল দেয়া ভাত!
কোর্মা পোলাও পান্তা ভাতে হয় কি কভু মিল
ঈদের দিনেও দেরি হলে পিঠে পরে কিল!
একঘন্টা দেরি হলে পয়সা নেয় কেটে
একদিন ইট না ভাঙলে, ভাত পড়ে না পেটে!
তিন সন্তান ফেলে সোয়ামী, নিরুদ্দেশ তার হলো
সে-ই থেকে জয়গুনের মা, ইঁট ভাঙায় যোগ দিলো!
জয়গুন ঘরে ভাই-বোন সামলায়, মায় ভাঙে ইট
সেই থেকে জানে না তারা, কবে আসে ঈদ ?
ইট মহাজন জয়গুনের মার দেহ চেখে খায়
এক মহাজন পাল্টে মায় অন্য মহাজন যায়,
এমনি ভাবে কাটছে জীবন বছর আট-দশ
ষোড়শী জয়গুন কে নিয়ে, আর-এক হাফ ফাঁস!
ঈদ কি শুধু ধনীর জন্য দিছেন মালেক সাই
লক্ষ লক্ষ জয়গুনের মার দেখার কেহ নাই !!!