কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
জন্ম নিয়ে মায়ের গর্ভে
ভাবলাম, এলাম বুঝি সৃষ্টির স্বর্গে!
দেখলাম মানুষ থেকে পশু বেশী
এক ভাই অন্যের সম্পদ খাচ্ছে চষি!
মায়ের অর্থ হাতিয়ে নেয়, মরলে লাশ ফেলে জঙ্গলের কাদায়
সম্পর্ক সবার অর্থ বিত্তে, রক্তের সম্পর্কে নাই এ ধরায়!
চাই, শুধু অর্থ চাই, গরীবের অর্থ লাশের বিত্ত লুটে খাই
মুমিন নই, মানুষ ও নই, মন্দির মসজিদে লাইনে দাড়াই!
বোধিবৃক্ষের শাখায় ঝুলায় মানুষের লাশ
মুহম্মদ, যীশু, বুদ্ধের শিক্ষার করে না চাষ!
নাগরিক সভ্যতার নামে আগুনে পোড়ায় মানুষের আবাস
কে নাগরিক কে-বা শাসক, জনতা হতবাক, হয়ে নিরাশ ”
মসজিদ মন্দির করার নামে দান বাক্স খোলা
দামী ধূতি পাঞ্জাবি তাদের গায়ে, ভিক্ষুকের কাঁধে ঝোলা!
গির্জার ঘন্টা মসজিদের আযান শুনে যারা ছোটে
পাদ্রী পুরোহিত দান করে না —
দানের বাক্সে গরীবের দান, ঈশ্বরের কপালে জোটে!
জন্ম অন্ধের মত ধর্মান্ধ, দেখেনা গীতা কুরআন খুলে
পুরোহিত পাদ্রী মৌলভীর কথায়, ধর্মের গাছে ঝুলে!
বিষন্ন বিপন্ন নিঃশব্দে আমি ভাবি, এ-র নাম বিশ্ব
আমারও সারাজীবন খেটেখুটে জ্ঞান আহরণের পর, হলাম এদেরই শিষ্য!
হায় ভবিতব্য, কিছু মানুষ ধোঁকা দিয়ে, খাচ্ছে লুটে পুটে
আমরা অবোধ, সেবাদাস যেন নিচ্ছি মেনে,
কৃতাঞ্জলিপুটে!
পিকাসো হলে আঁকতাম, প্রবঞ্চক প্রতারক বকধার্মিকের ছবিk
“বিশ্বে মানুষ নামে হায়েনা’ নিয়ে কাব্য লিখতাম, হতাম যদি ‘ফেরদৌসীর’ মত কবি