কলমেঃ উন্মেষন খীসা
প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বললেন
তোমরা আমার কথা শুনছো কি?
শিক্ষার্থীরা সবাই উচ্চস্বরে বললো
আপনার কথা শুনছি স্যার জি।
তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন শেষে আমরা চাই
করতে আয়োজন একটি চড়ুইভাতি,
যা সবার জন্য হতে পারে সাময়িক
আনন্দ-উল্লাস ও চিত্তবিনোদনের ঘাঁটি।
কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীরা বললো
স্যার বুঝিনি চড়ুইভাতি আসলে কী?
চড়ুইভাতি হলো পিকনিক বা বনভোজন
এবার বুঝেছো কি?জি স্যার বুঝেছি জি।
শিক্ষার্থীরা বড্ড খুশি হয়ে বললো
স্যার করেন তবে চড়ুইভাতির আয়োজন,
আমরা সবাই দিতে প্রস্তুত চড়ুইভাতির চাঁদা
থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন।
সবার সম্মতিতে দিন তারিখ করা হলো ঠিক
এবং করা হলো চড়ুইভাতির চাঁদা সংগ্রহ,
কায়িক,মানসিক,বাচনিক,আবেগিক ও
আর্থিকভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দেখালো আগ্রহ।
বাজেট অনুযায়ী করা হলো কেনাকাটা
অবশেষে করা হলো চড়ুইভাতির আয়োজন,
মিলেমিশে সবাই করলো তরকারি কাটাকুটি
সকলের সহায়তায় প্রধান শিক্ষক করলেন রন্ধন।
নাচে-গানে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে শিক্ষার্থীরা
করলো মহানন্দ-স্ফূর্তি ও চিত্তবিনোদন,
মন ভরে তৃপ্তি সহকারে সবাই করলো ভোজন
সত্যি কথা বলতে কি চড়ুইভাতি হয়েছিল সুশোভন।
এটি করা হয়েছিল মূলতঃ ভরিরমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায়ের সৌজন্যে,
বিদ্যালয়টি অবস্থিত বান্দরবান জেলার অন্তর্গত আলীকদম উপজেলায়,শিক্ষার্থীরা ছিল খুব স্বাচ্ছন্দ্যে।