চাঁদা নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়,
চাঁদা দিয়ে মসজিদ, মন্দির, সমাজ উন্নয়ন হয়।
দুঃস্থ লোকের মেয়ের বিয়েতেও চাঁদা, অনুদান,
চাঁদা দিয়েই চলছে অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
গরীব রোগীর চিকিৎসায় মানুষ স্বেচ্ছায় চাঁদা দেয়,
চাঁদা তোলে হিতৈষী কাজ মোটেও অন্যায় নয়।
স্বেচ্ছায় চাঁদা কল্যাণময় তবেঁ জুলুমের চাঁদাবাজি,
ভুক্তভোগী মাত্রই জানে-কত যে হয়রানী!
চাঁদার জন্যে সাধারনে হচ্ছে নাজেহাল,
চাঁদাবাজরা চাঁদা তুলে চলছে রাজারহাল!
জোর করে, ভয় দেখিয়ে হয় যা আদায় করা;
টাকা-পয়সা, পণ্যদ্রব্য যাই হোক তাই চাঁদা।
ডাকাতি আর চাঁদাবাজি একই রকম কাজ,
রাজনৈতিক শেল্টারেই হয় চাঁদাবাজি আজ!
চাঁদাবাজরা আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলার গাছ;
চাঁদাবাজদের খপ্পরে তাই কাঁদছে মানুষ আজ!
নেতার নামে, দলের নামে, বড় ভাইয়ের নামে;
দলবেঁধে জোয়ান -কিশোর চাঁদা এসে তোলে।
কিছু কিছু চাঁদাবাজি এমন ভাবে হয়,
ঠিক যেন ডাকাতি কিংবা ছিনতাই!
সিস্টেমিক ও তাৎক্ষণিক - এই দুই চাঁদাবাজি;
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে করছে ভীষণ ক্ষতি!
চাঁদাবাজির খবর দেখি পত্র -পত্রিকায়,
খুন, জখম, মারামারি কতকিছু হয়!
চাহিদা মতো চাঁদার যোগান দিতে না পারলে,
উন্নয়ন আর নির্মাণ কাজ যায় বন্ধ হয়ে!
বাস-ট্রাক থামিয়ে চাঁদা সারা বাংলাদেশে;
রশিদ দিয়ে,বুক ফুলিয়ে তুলছে সাধুর বেশে!
হাতি দিয়েও চাঁদাবাজি হরহামেশাই হয়,
চাঁদাবাজের প্রতিবাদী খোঁজে পাওয়া দায়!
ভাল লোকেও হিজড়া সেজে তুলছে এখন চাঁদা,
চাঁদাবাজদের কাছে সবাই আমরা যেন গাধা!
চাঁদাবাজির স্টাইলের নেই তো কোন শেষ,
নিত্য নতুন কৌশলে চাঁদা আদায় হচ্ছে বেশ!
চাঁদাবাজির জন্যে যত হচ্ছে জবরদস্তি,
সন্ত্রাসী এই চাঁদাবাজদের হোক উপযুক্ত শাস্তি
জবরদস্তির চাঁদাবাজি চলতেই যদি থাকে,
সাধারণ মানুষ পরবে তবে ঘোর বিপদে।।