কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
ছোট সময় হিজল গাছের তলে
খেলতাম জামাই -বউ,
একটা ছেলে একটা মেয়ে
দেখতো নাতো কেউ!
কৈশোরে তেমন খেলা
হলো না আর,
গরীবের ছেলে সে
কাজ নিলো চাষার!
মনে তাকে লাগতো ভালো
বার-বার মন পুড়াতো,
কলেজ ফিরে দেখতাম তাকে
গরুর জন্য ঘাস কুড়াতো।
রোদে পুড়ে বৃষ্টি ভিজে
জমিতে হাল বোহাতো,
আমায় দেখে কোঁচা দেয়ায়
লজ্জা পেয়ে লাল হতো!
সুঠাম বুকের কালো লোমশ
ঘামে ভিজে জট পাকাতো,
খুব কাছে এগিয়ে গেলে
আমার থেকে চোখ নামাতো!
মনে কোথা দুর্বলতা
ভাবতাম শুয়ে ঘরে,
কেন আমি খুঁজি তাকে
যেয়ে বারে বারে ?
তার ভাবী টিপুনি কাটতো
হবা, চাষার বউ ?
শুনে শুধু ভাবতাম আমি
মানবে নাতো কেউ!
কলেজ পড়া শেষ হলো
পাত্র একটা রেডি,
আগ্রহ করে নিতে চায়
ধনী বাপের বেটি!
দশদিন আগে বাদ্যবাজনা
শুরু হয়ে গেলো,
সারা বাড়ি মেহমান
কে কোথা শুলো?
রাত দুপুরে পালায় গিয়ে
উঠলাম চাষার ঘরে,
আল্লাহর উপর ভরসা করলাম
যা হয় হবে পরে!
লোমশ বুকে টেনে নিলে
পাঁজি চাষাটা,
এমন জোরে চেপে ধরলো
যায় যে জীবন টা!
বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে
সাথে হারিকেন,
পালিয়ে যেয়ে ধরলাম ঢাকার
শেষ রাতের ট্রেন!
চল্লিশ বছর কেটে গেলো
যাইনি সে গাঁ,
মাঝে-মাঝে মনটা কাঁদে
বেঁচে আছেন মা?