কলমেঃ রওশন রোজী
=============
সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ায় এ ঘর ওঘর করে,
মিষ্টি তার মুখ খানা, মন ভুলানো হাসি।
হাসি দিয়ে মন কেড়ে নেয় ভাবে বকবে না কেউ তাকে
সারাবেলা মাতিয়ে রাখে এটাওটা করে।
বয়সে সে হয়নি বড় বুদ্ধিতে হয়েছে বড়,
মাথা ভর্তি বুদ্ধি তাহার দুষ্টমিতে ভরা
গাড়ি দেখলে ঢিল মেরে দেয় যা হয় হবে
ঘরের কোন জিনিস রাখে না ফেলে ওই দেয় জানালা দিয়ে।
জানালা দিয়ে মোবাইল ফেলে ভাবে কেউ দেখবে না তাকে,
মাথাটা নীচু করে লুকিয়ে থাকে ওইপর্দার আড়ালে।
তুষার বলে ডাকে সবাই খুঁজে পায় না তাকে
পর্দার আড়াল থেকে বলে উঠে এই তো আমি এখানে।
মা তার ঘড়ি খুঁজে না পেয়ে
ভাবে এটাও তুষারের কান্ড।
কাগজ দিয়ে উড়োজাহাজ বানিয়ে
বলে আমি এটা চালাবো ওই আকাশে,
কথা শুনে সবাই হাসে।
মাঝে মাঝে বায় না ধরে, যাবে সে প্লেনের কাছে,
তুষার বলতে সবাই পাগল,মা অন্তর প্রাণ,
স্হির থাকে না এক দন্ড ও এক পলকে হারায়।
এমনি এক সকাল বেলায় দরজাটা খোলা পেয়ে
বেড়িয়ে পড়ে বীরের বেশে, ভাবে কেউ দেখবে না তাকে
হেলে দুলে হা়ঁটে অনেক আনন্দে নিয়ে,
সামনে তাহার মহা বিপদ বুঝতে পারে না কিসে।
হাঁটতে হা়ঁটতে চলে আপন খুশিতে,
এ দিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ আসবে না ধরতে
ভাবছে সে আজ রাস্তার রাজা কারসাহস আছে তাকে ধরবে?মা_বাবা তাকে সারা বাড়ী খু়ঁজে না পেয়ে
মনটা কে়ঁদে উঠে, অজানা ভয়ে
তুষার তুষার বলে চিৎকার করে ডাকে
এ দিক ওদিক ছুটে যায়।
মন তাদের হাহা কার করে উঠে এই বুঝি
তুষার গেল হারিয়ে আর পাবে না তাকে,
বড় রাস্তার মোড়টায় যেয়ে দেখে
তুষার তাহার আপন মনে হাঁটছে,
রাজার বেশে চলছে সে ফিরবে না কোন মতে,
তুষার কে দেখে মা বাবার প্রাণ ফিরে এলো শেষে।