কত ভিন দেশের গল্প শুনি,
কত না শুনি, বিত্ত সুখ্যাতি।
কত দেশ কত দূর এগিয়ে গিয়েছে,
গড়েছে আকাশচম্বী ভবন।
তাহা দেখে পাশ্বদেশ বাড়িয়ে দিল
আরও দুকদম।
কত দেশ ছুটচ্ছে রকেটের বেগে
উচ্চভিলাস স্বপ্নের পথে,
কত দিবালোকের তরে,
কত দেশ চলছে প্রতিযোগিতায় মরে।
শত ভিন দেশ বাড়িয়ে দিয়েছে দুহাত অর্বাচীনতার উপরে,
তাহাদের থেকে অনেক পশ্চাতে
আমারি সোনার দেশ,
তবুও যেন ভিনদেশের নিড়ে,
আমার দেশ সেরা আমারি তরে।
আমারি দেশে এখনো আসেনি,
ভিনদেশি প্রতিযোগিতার চারা,
আমারি দেশে নাইকো কভু
ভিনদেশী হেমের বেড়া।
নাইকো ওতো আধুনিকতা,
নাইকো আভিজাত্যের তাড়া।
আমারি দেশ এক খাটি সোনার দেশ।
আমার দেশের মানুষ গড়েছে
উত্তপ্ত আগুনে পুড়ে,
অত্বাচারির বিরুদ্ধে
উঠে তারা তেড়ে।
এখনো চলে আমারি দেশে
গরুর গাড়ি আর ভেলা।
এখনো ক্লান্ত কৃষক চালাই
লাঙ্গল কোদাল আর ফালা।
কত খাল বিল পারি দিয়ে,
বাড়ি ফিরে তারা আধহাটু কাদা বেয়ে
উত্তপ্ত আগুনের ন্যায় রৌদ্র পুড়ে।
কে তুমি? ইজ্জত নেও তাহাদের কেড়ে
চাষী বলিয়া দিয়াছো যাহারে ধিক্কার
একদিন তাহারি তরে করিবে,
তুমি আত্মচিৎকার।
যেদিন বুঝিবে আত্ম ভুল,
খুজে পাবে না কো সেদিন
কোন কূল।
হবে সেদিন দিশেহারা
যেদিন তোমার বিবেক দিবে নাড়া
তুমি যাহাদের বলো,
মুর্খ বর্বর চাষী?
দেখনি কি কাঠফাটা রৌদ্রের
মাঝেও তাহাদের নির্মম হাসি?
নিজ জন্মভূমি কে করিতে পার না
তুমি সম্মান,
তুমি কেন বৃথা গাহো ভিনদেশের গান?
অন্যের ভূমি যদিও হোক মনোহর
সে তো তোমারি স্বদেশ নহে,
এ কেন ভুলে যাও বারে বার।
তবুও যদি তোমারি মুখে শোনা যায়
স্বদেশনিন্দা!
তবে শোনে রাখ হে দেশদ্রোহী!
শোনে রাখ জাত্যহীন
ওই ভিনদেশের শত চাকচিক্য আর
আভিজাত্যে,
তবুও তুমি একা,
আপন দেশের প্রাণে চেয়ে দেখ
খুজে পাবে কাছের মানুষের দেখা।