কলমেঃ শায়লা আহমেদ
মা হারালাম বেশ ছোট্ট কালে,
ঠাঁই মিললো ঠাকুমার আঁচলে।
পাঠশালাতে মন বসেনা আর,
বাবার সাথে যাই খেত-খামার।
পড়া লেখার সাথে হলো আঁড়ি,
সকাল সন্ধ্যা পার এ বাড়ি সে বাড়ি।
গরু চড়াতে যেতাম পূবের পাহাড়,
বেলা শেষে মুখে জুটত কিছু আহার।
এমনি করে কাটছিলো দিন ভালো,
হঠাৎ একদিন ঠাকুমা ফাঁকি দিলো।
ঘরে তখন আমার মন বসেনা,
নদীর পাড় হলো সুখের ঠিকানা।
একদিন দুপুর বেলা পথের বাঁকে,
দেখে ছিলাম ভেজা শাড়িতে তাঁকে।
বলেছিলাম কোন গাঁ, কি নাম?
মৃদু স্বরে মন্ডল বাড়ী পাশের গ্রাম।
সেই থেকে তার কথা মনের মাঝে জমা,
পিসিকে বলে করে নিলাম প্রিয়তমা।
এমনি করে তার সাথে কাটছিলো দিন,
ভাবিনি হারিয়ে শুধিতে হবে প্রণয়ের ঋণ।
তুই হবার বছর তিনেক বাদে,
ধরলো অজানা এক অসুখে।
পানশী করে চললাম কবিরাজের বাড়ি,
মাঝ নদীতে হঠাৎ গেলো আমায় ছাড়ি।
সেই থেকে এইবুকে জমে আছে নোনা ব্যথা,
তখন থেকে আমি-ই তোর পিতা মাতা।
বাবার কথায় মেয়েও কাঁদে প্রশ্ন কোমল মনে,
ঈশ্বর কেন তুলে নিলো মা কে অকারণে।