কলমেঃ রকিবুল ইসলাম
==============
যেদিন তুমি ছেড়ে দিয়েছিলে হাত আমার,
সেদিন ঐ নীল আকাশটা ঘণ মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল,জানোতো?
বেদনার নীল আর গগণের নীল একাত্ন হয়ে পরিণত হয়েছিল সেদিন মিশমিশে কালো রুপে।
আমার সূর্য্য-স্ন্যাত প্রখর দীপ্তিময় আলোকজ্জ্বল বসুন্ধরা ততক্ষণে ছেয়ে গেছে নিঃসীম,ঘোর আঁধারে।স্বীয় অঙ্গ-সৈষ্ঠ্যব পর্যন্ত তখন অদৃষ্যমাণ।
হাতড়ে বেড়াতে শুরু করলাম একটা দিয়াশলাই, আলোর পিদিম জ্বালাবো বলে।
তোমার ধূসর হওয়া,ধূলো পড়া স্নৃতিটাকেও হাতড়ালাম বেশ কিছুক্ষণ।
যদি আলো আসে!তোমার আলো!
সে আলোতে উদ্ভাসিত আমার সারা ঘরে
আর খুঁজে পেতে কষ্ট হবে না দিয়াশলাইটিকে।
অথবা,অন্য কোন অকৃত্রিম আলোকের
প্রয়োজন হবে না তখন।তুমি ছিলে যখন,এমন আঁধারেও কোন কিছু খুঁজে পেতে সমস্যা হয়নি আমার।
এখন নিরুপায় আমি কি করি বলোতো?
তুমিত আমাকে বুঝলে না,
আমার সদালোকিত বসুন্ধরা আঁধারে বেষ্টিত করে পাড়ি জমালে অন্যথা স্বর্গ-সুখের অদম্য নেশায়।
আমার কাঁধটাকে অতিশয় সরু মনে করে ছুটলে তুমি চওড়া-প্রশস্ত কোন কাঁধের নেশায়,
যেখানে তুমি মাথা রেখে নিশ্চিতে,নির্বিঘ্নে নিতে পারবে শ্বাস।
কিন্তু, যে আমি তোমার নেশায় চুর,
তোমার সান্নিধ্যে বুঁদ,
সেই আমি এখন বাঁচব কিভাবে?বলতো তুমি!কোথাও,কখনো তুমিহীনা না থাকা আমি এখন সতত নিষ্পলক এক চাতক পাখি।
তোমার বিয়োগে,তুমি বিহনে,অতিমাত্রার তুমিময় আমি এখন অন্য নেশায় আসক্ত।
নাহ্! তোমার ভাবনাটা সঠিক নয়।
শরাব পান করি না আমি।
তোমার যে নেশা আমায় পেয়ে বসেছে,
তোমার পেয়ালার যে শরাব আমি করেছি পান অন্য কোন নেশা তাকে আর ঘিরে ধরবে না।
তবে,চেতনা নাশক ঔষধ সেবন করি আমি।কারণ,যতটা সময় আমি ঘুমে আচ্ছন্ন থাকব
ততক্ষণ অন্তত তোমায় ভুলে থাকতে পারব।
কিন্তু, ঘুমঘোরে তুমি প্রায়ঃশই চলে আস।
স্বপ্নের প্রথম প্রহরে তোমায় দেখি সেই প্রথম জীবনের শিশির শিক্ত স্নিগ্ধময় আবেশি ভঙ্গিতে,
অপরুপা সাজে অপ্সরী রুপে।
তবে,চির দুঃখী মানুষের কেতন উড়ানো আমি আমার কপালে সুখ সয়না বেশিক্ষণ।
সুখ-স্বপ্ন যাত্রায় যতি পড়ে,ছেঁদ পড়ে একটু পরেই।
ভেসে উঠে, নির্দয় নিষ্ঠুর তোমার একটু মুচকি হাসিতে
আমার মনের আঙ্গিণা ছেঁড়ে যাওয়া।
খু্ঁজবে না-কো তারে?হেলায় হারালে যারে??
মারা গিয়েছি আমি,তবু আছি বেঁচে তোমার মধ্যে।স্নরণে না আসলেও দুঃস্বরণে তো আসি তোমার মাঝে!এতটুকু প্রাপ্তি বা কম কিসের!
আর সেটাই হবে আমার -“দু:খাতুর সুখানুভূতি!”