কলমেঃ আফজাল হোসেন
——————————
উনিশশো আটচল্লিশ সালের
চোদ্দই আগস্ট পর্যন্ত,
মোদের বাংলাদেশ ছিল
ভারতবর্ষের অংশ।
স্বাধীনতার লড়াই করে
হিন্দু-মুসলমান,
ব্রিটিশ থেকে স্বাধীন হলাম-
ভারত-পাকিস্থান।
পাকিস্থানে মুসলিম বেশি
সংখ্যা গরিষ্ঠতায়,
হিন্দু লোকের সংখ্যা বেশি
ভারতের হয়।
পাকিস্থানের দু’অংশ হয়-
পূর্ব-পশ্চিম মিলে;
পশ্চিমা শাসক বাঙ্গালীদের
জ্বালায় তিলে তিলে।
তাদের ছিল উর্দূভাষা,
মোদের ভাষা বাংলা:
সর্বপ্রথম করে তারা
ভাষার উপর হামলা।
বাংলা ভাষা বিলুপ্ত করে
উর্দূকে রাষ্ট্র ভাষা,
এটাই ছিল পাক শাসকদের
দুরভিসন্ধি আশা!
ছালাম, বরকত, রফিক, জব্বার
ভাষার জন্য জীবন দেয়,
ভাষার জন্য লড়াই করে
আমাদের ই বিজয় হয়।
চব্বিশ বছর পাক শাসকরা
শাসন-শোষণ করে,
শান্তিতে ঘুম হয়নি মোদের
তাদের অত্যাচারে।
উনিশশো একাত্তর সালে
হয় মুক্তিযুদ্ধ,
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ঝড়ে
বীরবাঙ্গালীর রক্ত।
ত্রিশ লাখ শহীদের
রক্তের বিনিময়ে,
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়
ষোলই ডিসেম্বরে।
কিছু লোক রাজাকার
ছিল মুক্তিযুদ্ধে,
মুক্তিযোদ্ধা- রাজাকারের হিংসা,
আজ-ও সেই সুবাদে।
দেশ স্বাধীনের তিপান্ন বছর
পেরিয়ে গেল আজ,
দলাদলির হিংস্রতা দেশে
করছে আজও বিরাজ।
দুই ধারায় দেশের মানুষ
হয়েছে বিভক্ত;
হানাহানি-মারামারীতে
ঝরে তাই রক্ত ।
শান্তির আশায় যুদ্ধ করে
পাইনি আজও শান্তি;
শান্তির বদলে দেখছি এখন
হিংসা আর বিভক্তি।
গণতন্ত্রের বোল তুলে
স্বৈরাশাসন চলে,
মানবাধিকার এদেশে এখন,
ভাসে নয়ন জলে।
ক্ষমতা দখল, স্বৈরাশাসন
দেখলাম কত কিছু,
দমন-পীড়নের হিংসা দেখছি,
মাথা করে নিচু।
শান্তির জন্য লড়াই করে,
যতই রক্ত ঝরাই,
সর্ব দলীয় ঐক্য ছাড়া
শান্তির উপায় নাই।
অসাম্প্রদায়িক মহা নায়ক,
ধরলে দেশের হাল;
তিনি কেবল ছড়াতে পারেন-
সুশান্তির জাল।।