কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বর্তমানে নারী দিবস
চারি দিকে নারী নিয়ে সভা সেমিনার হাস ফাঁস,
নারীর চলার পথ শ্বাপদ সংকুল বিশ্বময়
নারী স্বাধীন এ কথাটাও আজীবন রহস্যময়!
যারা সংসারে জল দিয়া স্নান করে তারা পুরুষ
যারা ঘাম দিয়া স্নান করে তারা নারী, তাতেই সংসারে উঠে সুরুজ!
তবুও নারী শিকড় হীন সংসার জীবনে
কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত ফুল তারা মৌবনে!
আমি সোভিয়েতের বিপ্লবী নারী নাদিয়া
লেলিনের বলশেভিক বিপ্লবের এসেছিল আমার হাত দিয়া!
আমি জার্মান বিপ্লবী ছিলাম অকুতোভয় সৈনিক সোফিয়া
হিটলারের ইহুদীবিদ্বেষ আমি প্রথম প্রতিবাদী শোধি ঋণ জেলে গিয়া!
আজ একবিংশ শতাব্দীতে আমি বড় অসহায়
নারী ক্ষমতায়নের জোয়ার তবু পাঁচ বছর বয়সে ধর্ষিত হই মসজিদ মন্দির মাদ্রাসায়!
শিখি যখন মসজিদে কুরআন খুব ভোরে
আমার শিক্ষক হুজুর কোলে নিয়ে চুমু খান, কাঁদি অঝোরে
স্কুল কলেজ কিম্বা পড়ি বিশ্ববিদ্যালয়
পিতৃতুল্য শিক্ষক জ্বলে কামনার লালসায়!
আমি চলন্ত বাসে হই ধর্ষিত
পুরুষ লাঙ্গল ফলায় আমি যন্ত্র-তন্ত্র হই কর্ষিত!
আমি নিজেই জানি না কবে হবো শবমেহের, নূসরাত
সংসারে সন্তান পালন হেশেল ঠেলন রাতে ও স্বামী পাওনায় নাই ফুরসৎ!
নিজ হাতে তৈরি বিন্দু বিন্দু ঘামে তৈরি সংসারে আমি শুধু পণ্ডশ্রম
ছেলে বৌ এলেই যেতে হয় আমায় বৃদ্ধাশ্রম
জীবনের সারা পথে শুধু খেটেখুটে মরি
সূর্য রশ্মি দেখিনা, পর্দায় হিজাব নেকাব বোরকা দস্তানা পরি!
অথচ সুমেরীয় সভ্যতায় পাঁচ সহস্র বছর আগে নারী লিখেছিলেন কবিতা
একই শতাব্দীতে খৃষ্টপূর্ব নারী পুরোহিত হয়েছিলো, তা-ও নারীর নিজ যোগ্যতা!
প্রথম নোবেলজয়ী নারী একশত বিশ বছর আগে
নারী বলে স্বামী কে রাখতে হয়েছিলো ভাগে!
আজ-ও দেখি ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার স্বামীর হাত ধরে
স্বেচ্ছায় নতজানু নারী, পুরুষের পদতলে এমনি মরে!
আজ-ও চাকুরী করে বেতন এনে দিতে হয় স্বামীর হাতে
কর্তা বলে সম্বোধন, মাছের মুড়োটা, স্বামীর পাতে।
এরা তো বড় কষ্টে পেয়েছে পুরুষ, না হোক হাতছাড়া, সদা মনের বিকার
কেমনে মেরুদন্ড হীন এমন নারী করবে আদায় নারী অধিকার?
আমি কবি সুফিয়া, ডঃ নিলীমা, বেগম রোকেয়া, নূর জাহান
মেনে নেই নাই অযাচিত অবাঞ্ছিত পুরুষ শাসিত সমাজ বন্ধন!