কলমেঃ মায়া পারভীন
ঘুমিয়ে গেছে রাত্রি প্রহর, চারিদিক নিঝুম,
জ্বলছে তারাগুলো ক্লান্ত হয়ে চোখ নির্ঘুম।
আশ্বাস-আহ্লাদ মিশেছে ওই রাত্রির কালোতে,
কখন আলোকিত হবে প্রভাত সূর্যের আলোতে।
কেটে যাবে অমানিশা ঘন কালো আঁধার,
উদিত হবে আলোয় ভরা প্রভাত ঊষার।
রাতের আঁধার হৃদয়ে লুকানো বিষাদ,
বিরহী মায়া আঁধারে ঢাকছে নীনাদ।
হৃদয়ে জমেছে বিন্দু বিন্দু ব্যথার পাহাড়,
অন্তরের বেদনা মিশেছে ওই রাতের আঁধার।
অমাবস্যায় নিকষ কালো ছড়ায় না আলো জ্যোৎস্নায়,
জোনাকিরা আজ জ্বালায় না আলো রাত্রির বিষণ্ণতায়।
জানালায় হাত বাড়িয়ে চেয়ে থাকি গগন পানে,
আজ হৃদয় ডাক দিয়েছে জ্যোৎস্না স্নানে।
পরশে জড়াই গাঁয়ে হিমেল হাওয়া,
মন খুঁজে আজ পেতে চায় কোন সে মায়া।
কেন ফেলে একেলা, ঘুমিয়ে গেলে রাতের প্রহর,
কথা ছিল তুমি আর আমি মিলে হব যে দোসর।
শুনবেনা এ হৃদে জমা কত যে ব্যথা,
এই হৃদয়ের কোণে রেখেছি যত না বলা কথা।
ওঠো চোখ মেলো, খোলো রাতের দুয়ার,
শীতল স্পর্শে ভুলিয়ে দাও বেদনার পাহাড়।
কেন চুপ নিঝুম এই একলা পাড়া,
ওঠো চোখ মেলো এই আঁখি তন্দ্রাহারা।
পরীদের গল্প শোনো নিঝুম নিরালায়,
সুসজ্জিত নভোমন্ডল সুভাষিনী সুবহার্তিময়।
নক্ষত্ররাজির গল্প শুনে মনকে বোঝাই,
জ্যোৎস্নার আলো ছায়ায় হৃদয় ভরায়।
নীহারিকাও এসেছে শীতল ছায়ায়,
এনেছে কিছু সুখ-সারি চোখাচোখী মধুর মায়ায়।
মুখরিত আলোয় ভরা প্রভাতের প্রতীক্ষায়,
পরশ মাখা হৃদয় ছোঁয়া সুবাস ছড়ায়।
সৌরভ ছড়িয়ে ফুল ফুটিলো,
গভীর নিশি পেরিয়ে প্রভাত এলো।