পদ্মা নদীর এপার ওপার দুই পারে দুই গাঁও,
চাষ করিতে আইতো এপার বাইয়া নদীত্ নাও।
যুবক চাষা কত্ত যে কাম করে এবার আসি,
সেই গায়ের এক যুবতী কনে হাতে তাহার কলসি।
দুপুর অক্ত হাইটা কনে ক্ষেতে তাহার ছায়া,
হলদে শাড়ি পায়ের নুপুর রূপে আহা কি মায়া।
তাই না দেখে প্রেমের গন্ধে ভরে চাষার মনের হাড়ি,
তার চোখে আর মেলে নাই যে এমন অপরূপ নারী।
সাদা কপালে টিপ যে কনের হাসলেমপরে টোল, দখিনা হাওয়ায় উড়ছে যে তার এলোমেলো সব চুল।
যুবক চাষা বাজায় বাঁশি বাইয়া নদীর পান,
ঘড়ের বেড়াই চুপি দিয়া কনে পাইতা থাকে কান। মনের কথা কইলো চাষা মন বন্ধুরও সনে,
প্রস্তাবখানা গ্রহণ করিয়া শরমে পড়িল কনে।
দুই জনাই যে দুইজনের সনে শুধায় কত কথা, চাষা কাজে হইলে হয়রান বুলাইয়া দেয় মাথা।দিনের পর দিন পার হইয়া যায় কাটে কত মাস,
হঠাৎ কইরা একদিন প্রেমের হইল সর্বনাশ।
আচমকা যে চাষার অজান্তে হইলো কনের বিয়ে, আর আসে না রূপসী কনে নদীত কলসি নিয়ে।
কনে যখন কলসি নিয়ে জলে নামিতো,
নদীর ঢেউয়ের তাল তাহার হাটুৎ লাগিত,
কলসি নিসে আর কেউ আসে না একলাই ভাসে নদী,
খোঁজ মিলে চাষার হইল না যে এই জীবনে তার বিধি।
বাঁশির সুরে আর দেয় না যে কেউ বেড়ার ফাঁকে উঁকি,
কাইন্দা কাইন্দা চোখ মুছে চাষা হইয়া নদীর মুখী!
ভালোবাসা হারাইয়া হাতে দড়ি নিলো চাষী,
পদ্মা পাড়ের সেই জলপাইয়ের ডালে গলায় দিল ফাঁসি!