কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
দেখা দিলে অর্ধ শতাব্দী পর
কথা দিয়েও বাঁধলে না সাথে ঘর!
বুকে চেপে আশা দিলে অশ্বত্থ বৃক্ষের মত
দক্ষিণা পবন স্নিগ্ধতা নিয়ে আশা দিলে শত!
দুর্ভেদ্য স্ট্যাচুর মত তোমার আশায়
অবাধ্য সন্তান, কাটালাম পঞ্চাশ বছর একাকিত্ব বাসায়,
স্তব্ধ পাথর তবু গড়াতে পারিনি দূরে, যদি আসো
যদি এতবছর পরে-ও এসে একটু ভালোবাসো?
আজ এই 'চাঙ্গি বিমানবন্দরে' দেখা দিলে --
বলছো, "চলো ঘর বাঁধি দু'জন মিলে!"
গরু মেরে জুতা দান, পাথরে ফোটে কভু ফুল
সেদিন কেন পালালে, কার হাত ধরে না-কি আমার ভুল?
মায়ের মৃত্যু হলো দেখে ছেলেকে, বিরহ বেশে
কেন অবেলায় আবার নিলে পিছু, ছদ্ম বেশে!
সহস্র পথে আমার রয়েছে পদচিহ্ন তোমায় খুঁজতে
সে দহন, মায়ের ব্যথা, ঝলসানো হৃদয় টা কে যদি বুঝতে!?
কোন তেজ, সাহস, মনের জোরে আজ-ও একথা বললে
অপেক্ষায় সিক্ত নোনা জলে জলন্ত আতশী হৃদয় টা গলে ফেললে!
জলৎ ভঙ্গুর হৃদয় খানি তপ্ত লাভার মত বহমান
আজ ঘরবাঁধা র আশ্বাস এ বিভূঁইয়ে, করছো অপমান!
ফিরিয়ে দাও আমার কৃষ্ণ সম প্রেমময় পঞ্চাশ টি বছর
চলো বাঁধি ঘর বর্ষীয়সী রূপসী যখন করছো আছর!
এক-একটা যামিনী চলো ধবল হরিণী সম ছুটি
সে দিনের ভালোবাসা স্পৃহা উৎসাহ মরেনি, ভেঙ্গে হয়েছে কুটি কুটি!
মরণের পর, ওপারে কি নিস্তব্ধ নিথর গাঢ় অন্ধকার
জীবনের অতীত কি তটিনী র জোয়ার সম, ফিরে বার-বার?