কলমেঃ সাহেলা সার্মিন
এই একটি বিজয়ের জন্যে—
সাড়ে সাত কোটি মানুষ হয়েছে হন্যে।
দীর্ঘ নয় মাস—
আরাম আয়েশ বিশ্রাম আর খাদ্যের করেছে উপোস!
শারীরিক মানসিক কষ্টে—
জর্জরিত নিম্নবিত্ত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ওষ্ঠে।
জ্বালাও পোড়াও এই নীতিতে—
কেউ কেউ উঠে পড়ে লাগলো, ভরে দিলো ভীতিতে!
অপারেশন সার্চলাইট—
বিভৎস বিধ্বংসী চিত্র রাজারবাগ পিলখানা।
তাদের অসৎ উদ্দেশ্য —
বড়ো বড়ো শহর রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি করবে নিশ্চিহ্ন।
শুরু হয় গণহত্যা সব শুদ্ধ —
সাড়ে সাত কোটি মানুষ হয়ে যায় বাকরুদ্ধ।
একের পর এক হত্যাকাণ্ড চলে—
মৃতের ভাগার মেলে বিভিন্ন জায়গায় টর্চার সেলে।
জেগে ওঠে বাঙালি জনতা—
গড়ে ওঠে মুক্তি বাহিনী,ছাত্র শিক্ষক ডা. শ্রমিক সব একতা।
বাঙালির পাল্টা প্রতিরোধ—
গঠিত হলো মুক্তি বাহিনী নিতে প্রতিশোধ!
কতো কষ্ট সৃষ্টে পালিয়ে বেঁচে —
খেয়ে না খেয়ে সঞ্চারিছে সাহস দুঃখ সেচে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে —
দেশের মানুষ শক্তি ফিরে পেলো মনে প্রাণে।
একের পর এক—
করলো গেরিলা আক্রমণ, ছাত্র জনতাও ঝাপিয়ে পড়লো তেমন।
মুক্তি বাহিনীও ঝটপট —
আবার করলো অপারেশন জ্যাকপট।
শুধু কতিপয় রাজাকার—
পাকির সাথে মিলে সব করলো ছারখার।
মা বোন বধূ ভাবি —
পাকির বাচ্চার চোখে ঘোরে এদের ছবি।
দেশের যতো বুদ্ধিজীবী করলো বাছাই
একে একে তাদের ধরে নিয়ে করলো জবাই।
এমন লোমহর্ষক নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলে দীর্ঘ নয় মাস জুড়ে,
অবশেষে ১৬’ই ডিসেম্বরে —
বিজয় এলো বাংলার ঘরে।