কলমেঃ আহমেদ বিশাল (তিনু)
কাল করেছে মা জননী আমার সাথে গল্প,
জানতামনা তো সময় যে তার আছে বাকি অল্প।
আজ ভোরেতে মা যে আমায় ডাকলো সোনামণি,
তৃষ্ণায় যে মোর বুক ফেটে যায় আনরে একটু পানি।
বললাম আমি মা জননী কষ্ট হচ্ছে তোমার?
নারে মানিক কিছুই হয়নি বুকে আয় সোনা আমার।
কিছুক্ষণেই মায়ের চোখটা হলো যে লাল টুকটুকে,
মা জননী চিৎকার দিয়ে বলে কষ্ট হচ্ছে বুকে!
হঠাৎ করেই নিঝুম ভোরে মা-র বন্ধ হলো আঁখি,
চারিপাশ হয়ে উঠলো চুপচাপ স্তম্ভ পশুপাখি।
বললাম আমি মা যে আমার ছাড়লো দুনিয়া,
পাড়ার মানুষ আসলো ছুটে এ খবর শুনিয়া।
কাঁদতে কাঁদতে বলি শৈশবে হারালাম বাবাকে,
স্তব্ধ ভোরে মা জননীও ছেড়ে গেল আমাকে।
এখন তো আর কেউ ডাকবেনা সোনামানিক খোকা,
ঘড়টা এখন লাগবে যে বরই ফাঁকা ফাঁকা।
কেউ বলবেনা চলরে খোকা বাজারেতে চল,
সৃতিগুলো পড়লে মনে গড়ে অশ্রুজল।
গরম পানি কবর সবই হলো, হলো বাঁশের বেড়া,
মায়ের শেষ গোসল হলো বড়ই পাতার গরম জল দ্বারা।
অনেক শুনেছি আমি অন্যের মৃত্যুর খবর,
কিন্তু আজ নিজেরই খুড়তে হলো মা জননীর কবর।
অন্ধকার ঘড়ে মা জননীকে রাখলাম নিজের হাতে,
কাঁদছি ভেবে পারলামনা যেতে মা জননীর সাথে।
মনের বেদনায় আমি যে করি কবরের পাশে লুটোপুটি,
কোথা যাই ভেবে নাহি পাই করি শুধু ছুটাছুটি।
সন্ধা শেষে আধার ঘনিয়ে হয়ে এলো রাত,
কেউ বলেনা কোলে আয় খোকা খাবি দু-মুঠো ভাত।
এখন হলাম নিঃস্ব যে হায় একাই এক জাত,
শুধু রইলো দোয়া মা জননী, পাবে গো জান্নাত।