কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
সন্ধ্যায় ডুবন্ত ভানুকরের মায়াবী আভায়
হে দয়িত তুমি স্মৃতি পটে হও ভাস্কর্য হয়ে উদয়!
উষসীর আগমন আভাস দেয় আগত প্রদোষ কাল
স্মৃতির নিখুত আল্পনায় আকিঁবুকিঁ তোমার দেহের ভাঁজে, মুখ গুঁজে হতো সকাল!
তোমার মন মাতানো প্রগাঢ় কামার্ত হাসি
সারা রাত মাতওয়ারা হাস্নাহেনার সুবাস, জীবনে আমার আজ বাসি!
টিনের চালায় বৃষ্টির শব্দে মিলে যেতো তোমার সীৎকার
স্মৃতির ডাইরি ঘেঁটে বেরিয়ে আসে বুক ফাটা চীৎকার!
আনচান মন বৃষ্টির শব্দে স্মৃতির ক্যানভাসে প্রথিত তোমার ছবি
তুমি ময় জীবনে অংশু মালী দিলো না দেখা তাই আজ বিরহের কবি!
তেমনি কি কারো লোমশ বুকে সাঁতার কেটে আমায় কভু মনে পড়ে
তোমার ঐ বাসবের বাসর ঘরে এমনি করে কি বৃষ্টি ঝরে
ভালোবাসা এক দুষ্প্রমেয় সৈকতের বালুকা রাশি
পিথাগোরাসের জ্যামিতি নয়, যায়না মিলানো দিয়ে হাসি
যায় না ভোলা অন্তরতম অঁচলের দাগ, কৃষ্ণ গহ্বর
প্রবসন হলাম ভুলতে তোমার স্মৃতির জাবর!
শেষ বয়াম এলে পরে স্মরণ করে তোমার আদর
আজিষ্ঞবের নাই আজ আর আমার কাছে তেমন কদর!
জীবনে যার ফিরলো না রবিরশ্মি পুব আকাশে
কি লাভ বলো অর্ক ডুবলে প্রদোষকাল কে ভালোবেসে?
প্রবাসে ও তোমা ছাড়া মর্মপীড়ায় দগ্ধ আছি
পাহাড় সাগর পাড়ি দিয়ে নিত্য তুমি জ্বালাও আসি!
তাই তো বলি দেখে না চোখ, দেখে সে-তো "মন"
এ ধরাতে ভালোবেসে, ফেলে নাই অশ্রু, আছে কি সে জন?