কলমেঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
এমন ঘনঘোর নিকষ কালো নিশিত বর্ষায়
তুমি হরে নিলে মোর তন্দ্রা ঘোর!
হৃদয়ে আমার এক অজানা শিহরণ
এমনি অপলক নেত্রে হবে যামিনী ভোর!
নদনদী খালবিল ডুবুডুবু প্রায়
রমণী রমণ উল্লাসে মাতে!
নর্ম উথলিল যৌবন যার
ছোটে মন তার ছলছল বর্ষার সাথে!
কার্নিশে জোড়া পায়রাগুলি সোহাগ যাচে
বৃষ্টির ধারায় অনবরত সিক্ত পালকে!
ঝমঝম বাদল ধারার এমন শাওন রাতে
গরুর গাড়ীর শব্দ, ভাটিয়ালি গেয়ে, ফিরছে ঘর চালকে
একলা ঘরে রয়েছে যে রমনী সাথী হীন
নুইয়ে পড়ে ভালোবাসাময় আকু বাকু মন!
সপ্তাহ পর ফিরবে খসম তার ঘর
নীরবে কাঁদে তাঁর প্রেম, এমন রাতে নাই বলার মত জন!
ভেকের ডাক আনন্দে সাথী সঙ্গমের আভাস
নিদ্রাহীন সাথী হারা রমণীর আঁখি ছলছল!
শূন্য আলয় যে নারী একা রয় ঘর
টিনের চালে মনে হয় কলসি থেকে ঢালছে জল!
শাওন বরিষণ রুধিতে চায় জ্বলন্ত পেটের নির্ভীক শ্রমিককে
বর্ষণমুখর সকালে থমকে যায় ব্যস্ত নগরী, রোডে হাঁটুজল!
ঝরাপাতা আর বৃক্ষরাজির ডালে আবর্জনা সব রোড ঘাট
খোলা ড্রেনের দ্রুত জলের ঢল প্রবাহের শব্দ কলকল!
মেঘে-মেঘে সংঘর্ষে চমকে আকাশে বজ্রধ্বনি
শাওন বরিষণে একাকিত্ব নরের কানে ভেসে আসে নূপুরের শব্দ!
এমন রাতের চাওয়া সব কিছু তোমাতে যেয়ে মিশে
ভানু বিদায়ের পর থেকে তোমার আগমন রাগিণী শুনে হয়ে যাই স্তব্ধ!
এমনি শত শাওন অপেক্ষা মোর যাবে কি বিফলে
যথার্থ ই তুমি হবে না আমার প্রিয়া কভু?
আমার ললাটে নাইকি লেখা তোমায়
অভুক্ত প্রণয়ন হৃদয়ে রাখিবে কি আমায় সেই অধীশ্বর বিভু?