কলমেঃ বেলায়েত বাদল
প্রকৃতি নিঝুম শীত ঘুমে যায় ধরণীর তরু-লতা,
শীতে কাঁপে সব পাখি কলরব করেনা বলেনা কথা।
উত্তরী বধু নিয়ে রস মধু বেড়াতে বাপের বাড়ী,
পৌষ মাঘ থেকে হিম দিবে ঝেঁকে শীতল খবরদারি!
তারই সাথে এল গাঁদা, কামীনী, প্রভাতে গোলাপ ঢল,
বলাকার সাথে উড়ে আর মাতে অতিথি পাখির দল।
থুত্থুরি বুড়ি কম্বল মুড়ি বালিশে আলসে সকাল,
রবি মামাটার দেখা পাওয়া ভার চড়েনা গরুর পাল।
খড়-কুটো জ্বেলে দলে মেয়ে-ছেলে পোহায় অগ্নি তাপ,
ডিম মামলেট পরটার প্লেট ভুনা খিচুরির ভাপ!
খাইতে আরাম কাজে নেই ঘাম -নাইতে গেলেই হোঁচট,
সরিষার ফুলে মৌমাছি দোলে ফসলিত নদী তট।
ধান দুর্বায় শিশিরের কণা-
রোদ কুয়াশায় চলে আলোচনা-
বিফল রবি দৌঁড়িয়ে খুবই পশ্চিমে পড়ে ঢলে,
হিম সমীরণ ধরায় কাঁপন বাতায়ন ফাঁক গলে।
তবু এই শীতে গাজীর গীতে কাটিছে গ্রাম্য রাত,
বৌ করে পিঠা পুর দেওয়া মিঠা গন্ধে তেলেসমাত!
আঁধারে অদূরে বাদুরেরা ঘুরে খেজুরের রস খেতে,
কুয়াশায় ঘেরা নিবু জোছনায় কুহেলিকা ওৎ পেতে,
মনে হয় যেন ভয় দেখাবে পৌষের মাঝ রাতে,
বিড়ালে-বাড়ালে, কুকুর-শেয়ালে জড়িয়েছে সংঘাতে!
বৃক্ষরা রয় মাথা নিচু করে-
লাল হয়ে পাতা যাচ্ছে ঝরে-
ফুলুনির হাড় দাঁত নড়বড়ে, পানি পেলে শিরশির,
গোষ্ঠীরা মিলে মুষ্ঠি তুলে পাকায় শিন্নি, ক্ষীর।
বাংলায় শীতে, খেলা-সংগীতে অনুষ্ঠানের বাহার,
বিজয় দিবসে প্রাণের বিকাশে মুক্তির অহংকার!
আমাদের দেশে বার মাসে আসে ছয়টি ঋতুর stage,
প্রকৃতির লীলা ঘটিয়ে খোলে নতুন নতুন page.