মোঃ জাবেদুল ইসলাম
রমনীগঞ্জ, বড়খাতা
হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।
সাতচল্লিশ হতে একাত্তর সাল,
তেইশটি বছর ধরে।
পাক- শাসকেরা বাঙালির উপর,
নানা অত্যাচার করে।
শিক্ষা স্বাস্থ্য খাদ্য বস্ত্র আরও বাসস্থান,
সবগুলো থেকে বাঙালি বঞ্চিত,
পায় না তারা কোনো স্থান।
ভালো কর্ম পায় না তারা কাটে দিন অনাহারে।
কর্ম করে যদিও বা খাঁটি সঠিক পথে,
সঠিক মজুরি পায়নি তাঁরা লামসাম কোনো মতে।
হাড় ভাঙা শ্রম দিয়ে শেষে মজুরি এলো কম,
বুক ফাটা কান্না আসে, বন্ধ হয়ে আসে যেন মোর দম।
অবশেষে বাঙালির মনে শুভবুদ্ধির উদয় হয়,
সব বাঙালিরা ঐক্য গড়ো নাই’ তো মোদের ভয়।
দফায় দফায় আন্দোলন, নানান চুক্তি করে,
তাতেও পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর টনক না নড়ে।
যতো যেতে থাকে বাঙালির বছর মাস দিন,
বাঙালির আন্দোলন বেগবান হয় আরও কঠিন।
বাঙালি জাতির মহান নেতা, শেখ মুজিবুর রহমান,
ধরলো মোদের ছাতি।
একাত্তর সাল সাতই মার্চ রেডক্রস ময়দানে,
বীর বাঙালিরা জমাট বাঁধে ওরা লাখে লাখে।
দাবি আদায়ের মহা সংগ্রাম চলতে থাকে শেষে,
অবশেষে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিলো এসে।
তোমাদের ঘরে যা কিছু আছে,
তুলে নাও তোমাদের হাতে।
এবারের সংগ্রাম তোমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম এবারের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
শুরু হলো স্বাধীনতার যুদ্ধ
ত্রিশ লাখ শহীদ রক্ত ঢেলে দিলো।
দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিলো,
বাঙালিরা হারায় না তাদের মনোনল।
অকুতোভয় সৈনিক, বুকে সাহস জোগায়,
অপরিসীম দেশপ্রেম প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার নিয়ে আসে জয়।