কলমেঃ দেবিকা রানী হালদার।
অনাবাদি এক জীবন কাটালাম
খর রৌদ্রে চৌচির ফাটল ধরা জীবন,
নিজে এবং দেশ, আটকে গেছে পলি পড়া চরে
পৌঁছাতে গন্তব্যে লাগে স্বাধীনতা এবং আপন একজন!
পায়ে বেড়ি, স্বাধীনতা কই, কই আমার স্বাভাবিক জীবন
আমার নিয়মতান্ত্রিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা কই?
শূণ্য চলছি সতেরো কোটি মানুষ, গন্তব্য জানি না
এমন কি পাইলট নিজেও নয়, এ দূঃখ কার কাছে কই?
হাহাকারে ক্রন্দসী শত নারী,হারিয়ে স্বামী সন্তান
অভাব-অনটনের যা-তা কলে দ্রব্য মূল্য আসমান সমান,
ক্ষুধা আছে, নাই ক্রয় ক্ষমতা, বাকস্বাধীনতা, বশ্যতা, অধীনতা
কাদম্বিনীর মত মরিয়া করতে হয় প্রমান, ছুয়েছে আমায় মরণ!
ধ্রুপদী পিপাসায় ক্লান্ত-শ্রান্ত জীবন যৌবন বতী শশী খোঁজে
এ-ই সেই বিজয়ের ডিসেম্বর মাস উলঙ্গ শত-শত নারী পেয়েছিল বাংকার থেকে মুক্তি,
লক্ষ চার ধর্ষিতা নারী, নয়মাসে শোনে নাই কেউ তার চীৎকার!
ভোগ্য হয়ে কাটিয়েছে ন’মাস, হয়তো এমন-ই হয় স্বাধীনতার চুক্তি!
লাখ লাখ মানুষ হত্যা হয়, নারী হয় মন্দির মসজিদ গীর্জায় ধর্ষিত!
উপাসনালয়ে আশ্রয় ও গলে না ধর্মধ্বজী বর্বরের মন !
পাপের প্রায়শ্চিত্তে পরাজয়, আত্মসমর্পণ, আছে সহস্র এমন উদাহরণ!
মায়ের সামনে মেয়ে, ছেলের সামনে মা’কে হতে হয় গণধর্ষণ!