মোঃ আহসান কবির রিজওয়ান
ফসল ক্ষেতে পাওয়া যায় মাথা কাঁটা মরদেহ,
রাস্তায়-ঘাটে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে কেহ!
শিক্ষকরাও ঝুঁকছে সুদের টাকায়,
অবৈধ পাথর পরিবহনে পুলিশ চাঁদাবাজি করছে হায়।
তিন বছরের মেয়েটি হয় ধর্ষণ,
মরে গেলেও চাঁদা দিতে হয় নিরাপদ নয় গোরস্থান!
বাসে তুলে রগ কেটে অটোচালককে হত্যা,
নারীর সঙ্গে ইয়াবা খাচ্ছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
স্বামীর মরদেহের বুকে লিখা ‘সরি জান আই লাভ ইউ’ এবং পাশেই নিথর দেহ স্ত্রীর,
কারো কারো ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি হইছে পুলিশের।
খালে নয়, সেতু হয়েছে সড়কের ওপরে,
প্রেমিকাকে গিফ্ট দেওয়ার জন্য টাকা জোগাতে প্রেমিক ছাগল চুরি করে।
হিন্দু নারী সঙ্গে অসামাজিক কাজে মুসলিম নেতা থাকা,
রাজধানীর ফুটপাতে ৫০ ইঞ্চি জায়গায় ব্যবসা করার জন্য গুণতে হয় দেড় লাখ টাকা।
কেউ নাকি হয় গণতন্ত্রের ইমাম,
কেউ তরমুজে দিতেছে রঙ!
মসজিদ থেকে হয় চুরি, জানাযার মাঠ থেকেও হয় চুরি
মাংসের বদলে কেন ঝোল
বিয়ের দাওয়াতে দুপক্ষের মারামারি।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও বসছে মাদকের আসর,
কী দিন কাল এলো মেয়ের সাথে মেয়ের বাসর।
বাবা-মা’র যৌনতা অশালীন মন্তব্য করে,
এ জাতিতে বুজি পাগল-মদ্যপ গিয়েছে ভরে।
এসপি’র হুকুমে চলছে ডাকাতি,
স্বৈরাচারের দোসরদের হচ্ছে পদোন্নতি।
দেখ কোন মেয়ে পাতছে প্রেমের ফাঁদ,
এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কত ছেলের জীবনের স্বাদ।
তিন বছরও হলোনা স্কুলটি নির্মাণ করতে তাতেই ধরে ফাটল,
আট-দশ লাখ টাকা খরচ হয় দিতে গিয়ে ত্রিশ হাজার টাকার কম্বল।
মহানবিকে নিয়ে করছে কটুক্তি,
কবে যে মানুষ হবে এই পাগলের জাতি।
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা,
প্রশাসনও রাজনীতির পক্ষপাতিত্ব করে এভাবেই ত আপনাদের প্রতি আমরা আস্থা হারাই! আপনাদের ব্যর্থতা।
মুসল্লীদের হক মেরে মহাজ্জেন-কমিটি নিজেদের পেট ভরায়,
মসজিদ ঘরটারও এক-তৃতীয়াংশ ভাড়া দেয় যা দোকানে পরিণত হয়।
এখন মাংসেও দেয় ভেজাল,
ছাত্রবিনা ছাত্র সংগঠন! কেন ছাত্রের অকাল?
মায়ের চিকিৎসা করাতে ঢাকায় এসে হচ্ছে কোন মেয়ে-ছেলে নিখোঁজ,
দেশ নাকি স্বাধীন হইলো আবার! ছিনতাই ঘটে রোজরোজ।
শহীদদের নামে ব্যবসার ধান্দা হচ্ছে,
ভোটার হইলো ৪৫৯ জন আর বাক্সে কীভাবে ৪৮৫ ভোট পড়ছে?
রোজার এলে শয়তানের সাথে কোলাকুলি করে বুজি এদেশের ব্যবসায়িকরা,
ক্ষমতা পেতে না পেতেই শুরু করছে চুরি তারা।
কেউ ফের জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে,
দালালের ফাঁদে পরে বাংলাদেশের কেউ রাশিয়ায়! যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অস্ত্র ধরে।
মায়ের মাথা উদ্ধারের পরে মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেল,
দোষ করে কে! কার হয় জেল।
ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের গোপন অঙ্গ কাটলেন পুত্রবধূ কিন্তু কেন,
ইফতার মাহফিলেও একই দলের দুই গ্রুপে হয়েছে সংঘর্ষণ।
সাইত্রিশ শতাংশ বিয়ে গড়াচ্ছে বিচ্ছেদে,
রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
রাতের আঁধারে ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি,
আজব এ মানুষ কবে যেন খাবে কুত্তার গু’র বিড়ি।
ধরে নিয়ে কিস্তিতে ঘুষ নেয় পুলিশ, করে আরো চাঁদাবাজি!
সমন্বয়রাও হচ্ছে রে হায় অসৎ কাজের কাজি।
প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর মাকে নিয়ে উধাও,
এ কেমন দেশরে টহলরত পুলিশকেই তুলে নিয়ে গেল ডাকাত দল তাও!
বাঙালি জঘন্য কাজ থেকে দূরে এসে মানুষ হও।