কবি মোহাম্মদ ছামিউল
মিজানুর রহমান আজহারী কল্যানীয়েষু
আমার বাংলা মায়ের সন্তান,
সে কোন কলুষিতের জন্য হয়েছে
তোমাতে আমাতে এক সমুদ্র ব্যবধান।
কোন পাপাচারের কুদৃষ্টির আঘাতে,
কত দূরে তুমি, নাই জননীর সন্তানের সাথে।
আজ জননী কেঁদে কেঁদে ডেকে কয়,
তার সন্তানের ধ্বংস চোখে না সয়।
আজ জননীর গলা বসে যায়,
ডাকে আয়রে বাংলায় ফিরে আয়।
আয়রে নিয়ে তোর জ্ঞানের খনি,
নিয়ে আয়রে ঐ পরমাত্মতার বাণী,
যার অনেক কিছুই আমরা কেউ না জানি।
আমার কোলের বোধহীন সন্তানেরে
ঐ খোদার বাণী পৌঁছে দেরে,
সবাইকে তোর আপন করে নে রে।
ধ্বংস সরিৎ ভাসিয়া যাওয়া সে
সন্তানকে তুই মাঝি হয়ে পৌঁছাও তীরে,
মানুষের মতো মানুষ করে সবরে
আবার দে আমার বুকে ফিরে।
আয়রে খোকা বাংলায় চলে আয়,
তোর ওই বজ্র ধ্বনি শ্রুতি শুনতে চায়।
স্রষ্টার সৃষ্টি বাণী কর ঊর্ধ্বে বহন নীল আকাশে,
অন্তরে যেন যায় মিশে দে মিশেয়ে বাতাশে।
পাখিদের কলরবে বাতাসের শনশনে,
সিন্ধু বুকে হোক কিংবা বনে বনে।
জমিন হোক বা ঊর্ধ্বের ঐ জলাধর,
সবখানে বাজিয়ে দে মহাধ্বনি ‘আল্লাহু আকবার’
কাফের মুর্শিক জালেমদের বুকে কাপন ধরিয়ে দে,
অন্যায় অত্যাচারী ধর্মব্যবসায়ীদের বুকে কাপন ধরিয়ে দে।
নবযৌবন পাওয়া তরুণের রক্তে আগুন জ্বালিয়ে দে,
ঐ কুরআনের সংবিধান তুই ছরিয়ে দে।
আয়রে আজহারী চলে আয়,
বাংলা তৌহিদী মুসলিম তোকে চায়।
আমি পাই না তোর মতো কোরআনের পাখি,
এবার হয়ে যা তুই আকাশ বৈশাখী।
বজ্র ঝড়ের মতো দিগ্বিদিক ঘুরে বেড়াও,
লা-কালেমার কেতন আকাশে উড়াও।
আমি আপোনার থাকি আপনারে ডাকি এই বাংলায়,
আমার সোনার মত মানুষ পরিণত হয়েছে জংলায়।
আজ তো বাংলার বুকে বাধা নেই কোন,
তবে আসতে এত দ্বিধাবোধ কেন?
আপনার বাংলার ভাইদের নাও না আপন করে,
যেন হাসতে হাসতে পার হয় সব পরপারে।
আজ বিজয়ের বেশে আসুন, করুন এ উপকার,
এই বাংলায় আপনার করে দরকার।