আমার আর্তনাদ শুনেনি সেদিন জগদ্বাসী
কেন শুনেনি তোমরা কি জানো?
আমার মুখের বাধনের চাপে শব্দের কম্পন যে
বিশ হাজার হার্জের উপরে চলে গিয়েছিলো!
একদল মানুষ নামের অমানুষেরা ঘিরে
তুলে নিয়ে গিয়েছিলো আমায় এক নির্জন নীড়ে,
এরপর তারা যেন হিংস্র প্রাণী হয়ে গিয়েছিলো
শিকারীর মতো রক্ত মাংস খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছিলো।
আমি যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম ভীষণ
জানতে চেয়েছিলাম আমার দোষের কারণ,
তাদের বাকা ঠোঁটের সেই বিভৎস হাসি বললো
মেয়ে হয়েছিস তুই ভোগ বিলাসের জন্য।
ক্ষণকালের জন্য নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছিলো
এরপর আমার স্নিগ্ধ মুখের উপর যেন
বিশাল এক পাহাড় চাপিয়ে দিয়েছিলো,
হৃৎপিণ্ড তখন ভীষণ আর্তনাদ করছিলো।
তারপর আমার হৃৎপিণ্ড বন্ধ হলো
তখন চোখে আমার অন্ধকার নেমে আসলো
হঠাৎ তাদের যেন লালসার অবসান হলো
এইবার তারা আমাকে দেখে কিঞ্চিৎ ভয় পেলো।
আমাকে ওরা হাত পা বেধে বস্তাবন্দি করলো
তারপর আমায় এক জলাশয়ে ছুড়ে ফেলে দিলো।
সাঁতার না জানা আমি জানতাম না ইট বাধার কারণ
তারপর ধীরে ধীরে আমি পানিতে নিমজ্জিত হলাম।
কিন্তু পানিও আমাকে গ্রাস করেনি জানো
তিন দিন পর আমাকে উপরে ভাসিয়ে দিয়েছিলো।
আমার মৃত লাশের এমন অসহায়ত্ব দেখে যেন
পানির আর্তকান্না আরো হয়েছিলো একদম বিভৎস।
এটাই কি শেষ তারপর আমার খোঁজ হলো
মা বাবার আমার পোশাকে শনাক্ত করলো,
কিন্তু দেহের আঘাত কিভাবে তোমরা দেখতে পাবে
লালসায় পড়ে অনেক আগেই যে হারিয়ে গিয়েছে ।