কলমেঃ ডক্টর মোঃ বদরুল আলম সোহাগ
নিশ্ছিদ্র ব্যস্ততার নিচে চাপা পড়ে
একটা জন্ম ফুরিয়ে গেলো—
ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণিতে,
ভাত-কাপড়ের অঙ্ক কষে কষে।
একটা জীবন টের পেলাম—
দিনশেষে শুধুই ক্লান্তি জমে।
একটা জন্ম রেখেছিলাম
তোমার চোখের তারায় ডুব দেবো বলে,
একটা জীবন রেখেছিলাম
তোমার হাতটা ধরে—নদীর পাশে বসে,
নীল আকাশ ছুঁয়ে
শিশিরভেজা ঘাসে পা ডুবিয়ে।
একটা জন্ম রেখেছিলাম
কথার পিঠে কথা বসাবো বলে,
তোমার হাসির ভাঁজে
আমার দু-চারটে ব্যথা রাখবো বলে।
একটা জীবন রেখেছিলাম
তোমার নামে কয়েকটা কবিতা লিখে,
তোমার চোখে পড়লে—
সেই কবিতাগুলো একটু হাসবে বলে।
কিন্তু সবটাই তো হিসাবের বাইরে রয়ে গেলো—
একটা জন্ম বাজারের দরদামে,
একটা জীবন ঘাম-মাখা নোট গুনে।
একটা জন্ম ভুল বাসে, ভুল রাস্তা ধরে
ঠিকানাহীন জানালায় মুখ রেখে।
একটা জীবন কেবল—
বেঁচে থাকার চেষ্টায় পুড়ে ছাই।
তোমার সঙ্গে ভালো করে বসা হলো না,
তোমার চোখে চোখ রেখে বলা হলো না—
“কেমন আছো?”
এই তিনটে শব্দই যে,
আমার একটা জন্ম, একটা জীবন
পুরো করে ফেলতো।
এখনও কি সময় আছে?
তোমার পাশে বসে
সেই তিনটা শব্দ বলবো?
নাকি আবার—
একটা জন্ম এমনি এমনি কাটিয়ে দেবো?
একটা জীবন দেখতে দেখতে ফুরিয়ে যাবে?