’কবিতা’ এখন অন্যের ঘরে
অন্যের বিছানায়।
‘কবি’ তার স্মৃতি রোমন্থন করে
কাব্য লিখে যায়।
বেকার কবিকে দেয়নি বিয়ে
কবিতার বাপ-মায়।
চাকরিজীবি বরের সাথে
কবিতার বিয়ে হয়।
কবিতা এখন অন্যের ঘরে,
অন্যের দখলে,
কবিতাকে রাখছে খুশি
টাক্ মাথা বরে।
ঢাকা শহরের অট্টালিকায়
কবিতার বসবাস,
কবিতা বিরহে ঝাকড়া চুলে
কবি হয় দেবদাস’। ‘
কবিতা’ যখন অন্যের ঘরে
হেসে লুটোপুটি খায়;
বিরহী কবি তখন অশ্রু ঝরায়,
না পাওয়ার যন্ত্রণায়।
কবিতা এখন অন্যের ঘরে
ছেলে মেয়ে সামলায় ;
ভবঘুরে কবি পার্কে বসে
ছন্দ চষে যায়।
কবিতা এখন অন্যের ঘরে
অন্যের বিছানায়,
কবিকে ভুলে দিব্যানন্দে
হেসে খেলে কাটে দিন;
কবি তখনও কবিতা বিরহে
নিরানন্দ বিমলিন।
কবিতা হলো কল্পলোকের
তুলিতে আঁকা আট ;
কল্পনা আর বাস্তবতার
আকাশ-পাতাল তফাৎ।
কবির কল্পনায় রচিত কবিতায়
কবিতা হয় বাস্তবমুখী,
বাস্তব কবিতা তাইতো এখন
কবিকে ছাড়াই সুখী।
আবেগ দিয়ে কবিতা হয়,
সংসার হয়না;
কবির ভাগ্যে ‘প্রমিলা’ জোটলেও ‘
নার্গিস ‘ আসেনা।।
কবিতার চেয়ে স্বাবলম্বিতা
বেশি জরুরি বটে,
স্বাবলম্বী হলে শত কবিতা
এমনিতেই এসে জোটে।
শব্দ অলংকারে কিংবা
স্বর্ন অলংকারে,
যে ধনেই হোক কবিকে
ধনী হতে হবে।
স্বাবলম্বী-ধনী যে,
সবার শিরোমণি সে।।