কলমে: সাহেলা সার্মিন
কবির কলম সদা প্রেমময়
দু’চোখে যা দেখে সবই রঙিন,
তিনি বিশ্ব বাতায়নে ব্লগার কবি
তার কাছে এটা একটু সঙ্গীন!
ভালোর উল্টো পিঠে যেমন মন্দ
প্রেম আর প্রেমহীন অবয়ব,
খ্যতির শীর্ষে কবির কবিতা
প্রেম প্রেম সদা করে কলরব!
সব পাখির কণ্ঠে প্রেম নাহি মেলে
একটি পাখির বাসা কবির বক্ষ পিঞ্জরে
এসে বাঁধিল বাসা গোধূলি লগ্নে
কবিকে জ্বালায় আহারে বিহারে!
সকালের মায়াবী রোদ কতো মনোরম
দুপুরের সুতীক্ষ্ণ চঞ্চল সারথি
আজ অবেলায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
ভিখারি কবি প্রণয় আরতি!
নজরুল প্রেমে পড়েছে বারবার
উপেক্ষিত হয়েছে বহুবার,
রূপে মজেছে ফজিলাতুন্নেছার
নার্গিস থেকে ফিরে প্রমিলায় নিয়েছে আশ্রয়।
আমি কবি প্রেমে জন্মে কাব্য
কলম চলে সমুদ্র স্রোতে কল্লোলে কল্লোল,
জ্বরা চড়ায় থামেনা কলম
মিশে শত নারীর প্রণয়ী হিল্লোল!
জানি কবির প্রেম সাচ্চা খাদহীন
তাইতো কবিরা বিচ্ছেদে ভোগে,
একান্তই নিজের ভেবে বুকে ধরে রাখে
অতলস্পর্শ প্রেমের মোহ মুহূর্তেই জাগে!
রবি যেমন আন্নার প্রেমে মজেছিলেন
দু’ মাসেরও কম সময়ে,
এই টান ছিলো তার শেষ পর্যন্ত
যেমন ছিলো ভিক্টোরিয়া ওকাম্পে!
পানি গ্রহণ করলেন মৃণালিনী দেবীর
চক্ষু এড়ায়নি তার প্রণয় কাব্য গাঁথা,
বিচ্ছেদ বাঁশরি হলো তার কাব্য সারথি
মৃণালিনীর বক্ষে তখন দারুণ ব্যথা!
একুশ বছর বয়সে প্রেমে পড়েছিল
মোঃ হাফিজ এক পলক দেখে,
চল্লিশ দিন ছিলো অনাহারে
আধ্যাত্মিক ভাবে তাকে পাবে বলে!
তখনই লিখলো শত শত প্রেমের কাব্য
নিদ নাই চক্ষে নিশি কিংবা দিব্য,
লিখ কবি, তেমনি কাব্য অমর হোক বিশ্বে
হাফিজ নজরুল রবির শিষ্যে!