কলমে: সাহেলা সার্মিন
“”””””””'””””””””'”””””””””””””””””””””””
গভীর আঁধার ঠেলে সকালের সূর্য উঁকি দেয়
ভূবন রাঙিয়ে করে রঙমহল;
সারাদিন কতো দুর্দান্ত প্রতাপ!
পুড়িয়ে সব করে ভস্ম, চৌচির ফসলের মাঠ!
একটু বিশ্রাম নিতে বিকেলে হেলান দেয় আকাশের গায়!
শেষ বেলার হাতছানি আরো প্রাণবন্ত
কেবলি কাছে ডাকে আদরে বুলায়ে হাত,
শিয়রে তার কাঁচা সোনার খনি!
তারপরেও হারিয়ে যায় নীহারিকাময় নক্ষত্রের মাঝে।
অবুঝ প্রাণে কতো আহাজারি!
হয়তো বাঁচবো আরও কিছুদিন,
নয়তো চলে যাবো সাথে নিয়ে ঋণ!
গোধূলি শেষে আঁধারে নিরুদ্দেশ!
চলে গেলেই কী সব ছেড়ে যাওয়া হয়!
ভালোবাসায় পোড়া ছাই ভস্ম সোনার বাড়া
চরম সত্যের কাছে মাথা নোয়াবে একদিন।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত
সবুজ বনানী থেকে পদ্মপুকুরের জল
ঢলে পড়া পুর্ণিমার প্রাণকাড়া রূপে
বাঁচার সে কতো আকুতি!
তবুও কী আজীবন বেঁচে থাকা যায়?
বিদায়ের সানাই বাজে যখন তখন!
নিরুদ্দেশ গন্তব্যে হঠাৎ ডেকে ওঠে পাখি!
বহু আদর যত্নে ভালোবাসায় লালিত প্রাণ
আৎকে ওঠে অজানা ভয়ে!
জীবন ফুরালো বুঝি,আর নেই সময়!
এমনি করে ছাড়তে হবে ধরা,
চলে যেতে হবে একা!
একদিন!