কলমে: মহসিন আলম মুহিন
চারদিকে ডিজিটাল হাহাকার!
ফাঁকাবুলিতে উদরের যন্ত্রণা বাড়ে-
অসত্য আর মিথ্যার তেলেসমাতি আঙ্গিনা
জুড়ে, আমি শুধু “অপরাজেয়”-“সাবাস”মূর্তি
দায়বদ্ধতার লেশ মাত্র পড়িনি।।
হালের বলদ, দুধাল গরুর বিয়ে, গরীবের চাল,
অসহায় শিক্ষার্থীর মাল, মানুষের রক্ত আমার
কাছে সবই জায়েজ-রাস্তার কংক্রিট, সিমেন্ট, বালু, চাকরি, ভর্তি-বাণিজ্য কোথাও আমি থামিনী।।
হাসপাতালের বেডে স্বজনের কষ্ট! ভুয়া টেষ্ট,
মিথ্যে রিপোর্ট, অপ্রয়োজনে সার্জিক্যাল
ব্লেড ধরি কর্তার আস্তিনে, ডেলিভারির অসহ্য
কাতরানি হেথা চড়া মূল্য হাঁকি, আমি দমিনি।।
দু’আনা আয়ের মাসে চার আনা উড়াই-
তেলের মাঝে ঘিয়ের দাম খুঁজি,
মূল্যের উর্ধ্বগতি, লাগামহীন অশ্ব যেন-
অন্ধের দুধ চেনা ধবল পাখী বিচিত্র টানাপোড়নে
উঠে নাভিশ্বাস-আমি মানিনি।।
মানুষের জন্য মানুষ পুরোনো বাক্য-
ধূলি মাখা, অপাংক্তেয় শব্দ চয়ন!
বেড়ে উঠি অস্বচ্ছ মনে;
ফেসবুক, গুগলের স্বর্ণযুগে নব্য
চালাকি ধরি, সুপথে ফিরিনি।।
হত্যা, ধর্ষণ, ভাগ বাটোয়ারায়
ফেলানী, সোহাগী, মুনিয়া, আবরাররা
চাপা পরে কালের গহবরে!
নতুন ভূত নাচাই পুরোনো আসরে-
সবার শঙ্কা বাড়ে আমি কাঁদিনি।।
একতরফা একগুঁয়েমির নগ্নতা-
অনেক বড় বড় অর্জন ম্লান করে,
কাঁদায় ভরে পরিস্কার উঠোন-
অক্টোপাসের মত বেষ্টিত শরীর-
গাছেরই ডালপালা, ওহ আগে ভাবিনি।।
বিধান কাটা ছেঁড়া অস্তিত্বের প্রশ্ন উঠে-
অন্ধকার হয় আগামীর হিসাব নিকাশ,
তবুও সিঁদুর খেলায় মাতি পরের কপালে-
আমার আমিকে মেলে ধরি সর্বগ্রাসী থাবায়-
বিবেকের নূন্যতম লকার-না খুলিনি।।
কেয়ারের প্রয়োজন নেই, আবদার’ যত কমে ভালো, নতুন ষড়যন্ত্রে সাজাই দূরের স্বপ্ন!
আমার চাওয়া এখন আরও সর্পিল-
আমি আছি, আমি থাকবো, আমি হারিনি।।