কবি: মুহাম্মাদ বায়েজিদ বোস্তামী
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
কী সেই বিধ্বংসী দাবানল জানুয়ারী দুই হাজার পঁচিশ ?
শোষণ নির্যাতনের নিষ্পাপ শিশুর আর্তনাদের নালিশ।
রক্ত ঝরা রক্ত মাখা ক্ষত-বিক্ষত দেহ হৃদয় যখন নিষ্পেষ,
এতিম ছেলে বিধবা মায়ের দীর্ঘশ্বাস- যেখানে হয় রে শেষ,
মহান প্রভু মানে না কভু-করে দেয় সব নি:শেষ।
হৃদয়ের সেই কালো অঙ্গার- করতে হবে দূর্বার গতিতে সংস্কার,
সম্ভ্রম হারানো হাজারো প্রাণের- কালো নিশিকে জানাই তীব্র ধিক্কার।
জ্যান্ত লাশে মত্তে হাসে-ভাবে যারা নিজেকে অবিনাশ,
চিতার আগুনে পোড়াতে দেহ- পাবেনা তারা কেনো বাঁশ,
মাটিতে লুকাবে দেহ সৎকারে- পাবেনা কভু পাপীর সেই লাশ।
স্রষ্টা হতে নিক্ষিপ্ত দাবানল-কিভাবে নিভাবে দুনিয়ায় এই জল ?
পানি ছিটাও প্রযুক্তি খাটাও- রুখে দাঁড়াবে আছে কোনো শক্তি-বল ?
যতই সাজাও প্রযুক্তি বিদ্যায়-বীর যোদ্ধা নিয়ে জনবল,
সকল সৃষ্টির সর্ব শক্তির মহানের নিকট তা যৎসামান্য দূর্বল।
চূর্ণবিচূর্ণ সকল সভ্যতা- সংস্কৃতির সেই আলোক মহল,
বিদীর্ণ দাবানলের লেলিহান শিখা-নেভায় না দুনিয়ায় কোনো জল।
দূর্বলের প্রতি সবলের শোষণ- করে যখন সীমা লঙ্ঘন,
শেষ পরিণতি কাফনের কাপড়-বোঝেনা সেই মনের রাবণ।
মানুষ আসলেই কতই না আজব ?
বোঝেনা ঐশীর নিদর্শন গজব,
অনিয়ন্ত্রণযোগ্য ষড়রিপুর অনল থেকে,
বাঁচাবে মোদের মহাবিশ্বের মহান রব।
লন্ডনের প্রতিনিধিত্বকারী ইসরায়েলের বিস্ফোরিত হামলা ও নৃশংস থাবা,
মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের গাজা হত্যাযজ্ঞে- পুড়িয়ে নেয় তারা মজা।
জনজীবনে বিপর্যস্ত মৃত্যুর মিছিলে কাঁদা- সেই নির্যাতিত গাজা,
তাদের আত্মবিলাপ অভিশাপে পেলো -পোড়া দাবানলের সাজা।
নিউইয়র্ক ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস,
নিজেদের ভাবতো দুনিয়ায় সেরা বস,
অহমের পাপে নিজ বাটখারায়
টেনে নিয়ে আসলো পুরোপুরি ধস।
কাকে বলবো ক্রমে ক্রমে কামানো-নিজের নিষিদ্ধ কাজের দোষ ?
আর কিভাবেই করবো প্রমাণ- নিজেকে মহান রবের নিকট নির্দোষ ?
মসজিদের ভিতর মন্দির খোঁজো, যতই সাজাও মামলা,
যুদ্ধ নির্বিচারে হামলা- যদি বন্ধ না করো তোমরা,
ব্যক্তি স্বার্থ করতে অর্থ-কুটিলতায় সব আমলা,
মহান এক অধিপতির- রোষানল থেকে নিজেকে এবার সামলা।
পরজীবন ছাড়ি দুনিয়ার চিন্তায়- নিজেকে ভাবিও না আর বৈভব,
মনের আকুতি করে মিনতি- হৃদয়ে জাগাও অনুতপ্তের অনুভব।
ধর্ম বর্ণ জাত বিজাতে না হারিয়ে-মানুষে মানুষ হও হৃদয় একজোট,
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ন্যায় বিচারে হও- সকলেই বিবেকের ঐক্যজোট।