পিলপিল পায়ে পিঁপড়া চলে
নেই তাদের কোনো চোখ।
তবুও তারা দলে দলে চলে
পাড়ি দিতে পাড়ে বহু পথ।
শৃঙ্খলা মেলে হাঁটাচলা করে
খাবার জোগায় একে অন্যের
হিংসা-বিদ্বেষ নেই অহংকার
সমান্তরাল লাইনে পথ চলে।
পিঁপড়েরা ভীষণ বুদ্ধি সম্পন্ন
কর্মঠ ও পরিশ্রমীও হয় বটে।
শীতে খাবার জোগাড়ের কষ্টে
গরমে খাবার সঞ্চয় করে রাখে।
পিঁপড়াদের গোত্রের সবারই
সব কাজ ভাগ করা থাকে।
অলসতায় কেউ কাটায় না
দিন,পরিবারের পাশেই থাকে।
পিঁপড়েরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
কাজ শেষ করার চেষ্টা করে।
ক্লান্তি তাদের দমাতে পারে না
তাদের মনের সাহসিকতা দেখে।
একাত্মতাবোধ ও সুখে-দুঃখে
একে অন্যের পাশে থাকে।
বিপদের আশঙ্কা বুঝতে ফেলে
সর্তক করে দেয় সকলকেই।
নেতৃত্বের গুণ সবার ঐ আছে
আছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মেধা
তবুও দলের পরস্পরের প্রতি
তাদের মায়া-মমতায় ভরা।
ছোট প্রাণি হলেও ধৈর্য প্রবল
দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে লড়েই
আজও সকল প্রানীর মতো
টিকে আছে হাজার বছর ধরে।