কলমে: সাহেলা সার্মিন
শৈশব পেড়িয়ে কৈশোর শুরু
বিস্ময়ে কাটে এ মেরু থেকে ও মেরু।
প্রাথমিক পেড়িয়ে মাধ্যমিকে প্রথম দিন
আজও চোখে ভাসে, হয়ে আছে অমলিন!
চেনা অচেনা কতো শত ছেলে মেয়ে
একসাথে ক্লাস গোটা পঞ্চাশ ষাট মিলে।
কারো সাথে কথা হয় কারো সাথে হয় না
কেউ আড় চোখে চায় কেউ চায় না।
পণ্ডিত স্যার নাম দিলেন ফুলের বাগান
মাঝে মাঝে এসে মধুর সুরে ধরেন গান।
শত ফুলে মৌ মৌ আমাদের ক্লাস রুম
রজনী গন্ধা গোলাপ ছিলাম কয়েকজন।
গোলাপের সৌরভ রজনী গন্ধার মন মাতানো টান।
নিজের মনে নিজেই ভরে উঠত প্রাণ।
লেখাপড়ার প্রতিযোগিতা চলতো হরদম
ক্লাসের পড়া ক্লাসেই তৈরী হতো উত্তম।
সিক্স সেভেন পেড়িয়ে এইটে পদার্পণ
প্রেমের পিদিম জ্বালালো কেউ বুঝিনি তখন।
যা দেখি তাই ভালো লাগে
মনটাও নতুন ভাবে জাগে।
নাইনে উঠে মনটাকে ছোঁয়াই ভার
তাকে নিজের কাছে রাখতে পারিনা আর!
নিজেরে নিজে সাজাই বারে বারে
আয়নায় মুখ দেখে চোখ নাহি ফিরে।
কার লাগি বিবাগী এ মন জানে নাতো সে
নিজের কাছে নিজেই সে হয়ে যাই ভালোবেসে।
শাসন মানে না মন করতে চায় আস্ফালন
আল্লাহ ও লোক লজ্জায় বহু কষ্টে করি দমন।
ডায়েরির পাতায় দোষ নাই ভালোবাসতে
মনের কথা প্রাণ খুলে লিখি কবিতাতে।
সেই মধুর দিনগুলোতে ভালো লাগার শিহরণ
কাঁচা যৌবন সবার যেনো এক মৌ-বন।
ভালোবাসি কেউ কাউকে বলা হয়নি কখনো
আঁখিতে আঁখিতে ছিলো প্রণয় মাখানো।
আজও নিরালায় বসে বাতায়ন পানে
সেই মুখখানি ভাসে দু'নয়নে।
এস এস সি পাস করেই কলেজ হয়ে যায় ভাগ
কালে ভাদ্রে দেখা হলেও রয়ে যায় ফাঁক।
কলেজে যেতে আসতে যেখানে সেখানে রোজ
দৃষ্টির সাথে আর পারিনা করে শুধু খোঁজ।
বহুদিন পরে একদিন মিললো তার দেখা
দিলাম কিছু কবিতা কলেজ বার্ষিকীতে লেখা
সাপ্তাহিক মেঘনায় নিয়মিত লিখতাম তখন
ইচ্ছে হলো সব লেখা তার পায়ে করি সমর্পণ।
তরপর আর দেখা মেলেনি তার সাথে
জীবন মিশে গেছে অন্য কারো সাথে।
আমার ভরা সংসার কাটে কর্ম ব্যস্ততায়
দেখা হয়না প্রায় আড়াই যুগ চলে যায়!