প্রবাসী, তোমার জীবন যেন এক অবিরাম যুদ্ধ,
স্বপ্নের সঙ্গে সংগ্রাম, ঘামের সঙ্গে ত্যাগ।
তুমি দূর দেশে দিনের পর দিন কাটাও,
কোনো একদিন মাতৃভূমির কোলে ফিরে আসার আশায়।
তোমার রেমিটেন্সে জ্বলে গ্রামের চুলা,
তোমার পরিশ্রমে টিকে থাকে দেশের অর্থনীতি।
তবু, কেন তোমার ভাগ্যে আসে অপমানের করুণ ছায়া?
কেন এয়ারপোর্টের মেঝেতে লুটিয়ে থাকে তোমার সম্মান?
তুমি যে দেশের জন্য রাত-দিন কাজ করো,
সেই দেশেই কেন তোমার নামে লেখা হয় লাঞ্ছনার কাহিনি?
তোমার গায়ে যে হাত তুলল,
তারা কি জানে তোমার ঘাম মাটিকে সেচ দেয়?
তোমার রক্তে ভেজা মাটির প্রতিটি ফোঁটায়
লুকিয়ে আছে একটি জাতির গৌরব।
তোমার বুকের যন্ত্রণা কি তারা বোঝে?
তারা কি জানে—তোমার স্বপ্নে লেখা আছে দেশের ভবিষ্যৎ?
প্রবাসী, তোমার কান্না আকাশে ধ্বনিত হয়,
তোমার লাঞ্ছনার ক্ষত পুড়িয়ে মারে প্রতিটি হৃদয়।
তুমি যন্ত্রণা সহ্য করো, তবু প্রতিবাদ করো না।
তুমি জানো, তোমার প্রতিটি শ্বাসে বাঁচে একটি দেশ।
কিন্তু, কেন? কেন এই নির্যাতন?
কেন তোমার রক্ত ঝরে অনর্থক?
তোমার বুকের ব্যথা কি সবার চোখ খুলবে?
তোমার রক্তে লেখা ন্যায়ের দাবি কি শুনবে কেউ?
বাংলাদেশ, তোমার সন্তানেরা আজ প্রশ্ন করে:
“তাদের অপরাধ কী? কেন তারা এমন অপমানিত?”
তোমার লজ্জা কেন তোমার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে?
তোমার নীরবতা কি তোমার ভবিষ্যৎ ধ্বংস করবে?
প্রবাসী, তোমার যন্ত্রণা আমাদেরও ব্যথিত করে।
তোমার সংগ্রাম, তোমার ত্যাগ
আমাদের কাছে এক অমূল্য শিক্ষা।
তোমার কষ্টের গল্প যেন কখনো হারিয়ে না যায়,
তোমার রক্তে লেখা অভিযোগ যেন ন্যায়ের প্রতীক হয়।
তোমার অপমান মানে আমাদের সকলের অপমান,
তোমার রক্তে ভেজা প্রতিটি মাটি ন্যায় চায়।
তোমার ঘামে গড়া প্রতিটি স্বপ্ন
একদিন নিশ্চিত বাস্তব হবে।
তোমার জন্য একটি ন্যায়বিচারের সূর্য উঠবে,
তোমার সম্মান আবার ফিরবে তোমার হাতে।