কলমে: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
যৌবনের উঁচুনিচু ভাঁজে খাঁজে
পুরুষ চায় ডুব দিতে ঊরুসন্ধি মাঝে,
জলন্ত এক মশাল নিয়ে ছুটেছে নারী বিশ্বে
নারীর অমর্যাদা অসম্মানে বাংলার মাস্তান শীর্ষে!
হোক না সে মুচি ডোম হাড়ি ব্যাধের মেয়ে
নারী শরীর পেলেই হলো, ভোগে নেচে-গেয়ে !
জাতে পাতে অচ্ছুৎ নয় দেহ ভোগের সময়
ভালোবাসা করলে অচ্ছুৎ নারী, নালিশ যায় থানায়!
নারী আমি মন্দিরে গেলে পূজার থালা হাতে
মন্দির প্রতিমা ভেঙে পড়ে আমার জাতে পাতে!
মসজিদে তো “কুকুর ও নারীর” একদম ঢোকা বারন
কতকিছু পাশ দিলাম বুঝলাম না সে কারন!
নারী দেখলে তাদের নাকি জিহ্বায় আসে জল
নারী নাকি নরকের লাকড়ি, দোজখে নেয়ার ছল!
পাড়ার টিপ সহি নেতা, গরীব বলে, বিয়ের প্রস্তাব দিলো
কতকিছু পাশ দিছোস, সনদ ছিঁড়ে ফেলো!
নারীর কাজ হেঁশেল আর পতির বিছানা
ওসব লেখাপড়া কাজ দেবে না!
পাড়ার মাস্তানের উপদেশ শুনলাম, নিঃশব্দ নিঃশ্বাসে
ডুবন্ত ভানু করের হলুদ আভা তখন, ছড়ালো আকাশে!
বাড়ীতে এলো একদিন ভালোবাসার জন
অচ্ছুৎ নারী আমি রটে গেলো, সেই দিন সেই ক্ষণ!
নেতাকে দেখলে আমার অধর কেঁপে নীল
থরথরি কাপে শরীর, শকুনির লাল চোখে তার আঁখির মিল!
আমার স্পর্শে তখন পুকুরের জল হয় অচ্ছুৎ
আমায় দেখলে কিছু লোকের ঈমান হয় বিচ্যূৎ,
পথে ঘাটে চলাফেরা, কলেজ যাওয়া, হলো বড় দায়
কেউ বললো না এগিয়ে, লৌহ হয় সোনা, নারীর ছোয়ায়!
নারী উর্বরা সুজলা সুফলা, স্পর্শে নারীর বিষ হয় মধু
নারীর হাতে বিকশিত হয় সূর্যের আলো, শশীর জোছনা, ফোটে কাননে অম্লান কুসুম শুধু!
কেন পায়ে বেড়ি, কেন ভোগের কৌশল, দায়ী কি নারী
বলো ঈশ্বর, অচ্ছুৎ অস্পৃশ্য চরিত্রহীন অপবাদে, কি করতে পারি ?