কবি: মুহাম্মাদ বায়েজিদ বোস্তামী
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
প্রতিটি নারী তোমার হৃদয়ে-ভাবো মাতা বোন,
পরের মেয়ে চোখের সামনে-আসবেই যখন।
নিজেকে নিজে করো তুমি এতোটাই সংযম,
নফসের দাসত্বকে বিদায় দিয়ে-তুমি হও তার যম।
এক দিন তুমিও হবে-কোনো নারীর বাবা,
থামিয়ে দাও নারীর দিকে-নোংরা লোভের থাবা।
মা বোনের ইজ্জত যেন-মনে রাখা কাবা,
সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত আমি-হৃদয়ে তা আঁকা।
নিজের হাতে হত্যা করো-রাত হলে গভীর অন্ধকার,
সমকামী বলৎকারে জানাই নিন্দা-মনে তীব্র ধিক্কার।
গুড়ে বালি হবে তোমার-ধ্যান যজ্ঞ তপস্যা,
যদি না ছাড়ো এই ধরাতে-যৌনতার লিপ্সা।
দেবর-ভাবি শালি-দুলাভাই গায়রে মাহরাম সম্পর্ক,
বিয়াই বিয়াইন সমাজে করে- সুযোগ সন্ধানী অপকর্ম।
বন্ধু বান্ধব প্রতিবেশী স্বজন-বেপরোয়া হই আজন্ম,
সমাজ বন্ধনে ঘনিষ্ঠতা হয় এমন- মানেনা মুশরিক ধর্ম।
পায়ে বড় হিল-আঁটসাঁট পোশাকে রঙিন বোরকা,
দেহের গড়ন পোশাক পড়নে-খুঁজে এলাকার ছোকরা।
ঠোঁটে লিপস্টিপ কপালে টিপ-চোখে কালো চশমা,
আধুনিকতার নামে প্রকাশ্যে-নগ্নতার বড় কারিশমা।
কোমর দুলিয়ে বুক ফুলিয়ে-ছোট পোষাকে হাঁটছি,
উলঙ্গ হয়ে নিজেকে নিজে-সস্তা কিভাবে বানাচ্ছি।
খোলা মনের নামে যত্রতত্র-মেলামেশা যেভাবে করছি,
যৌন লালসায় নিজেকে নিজেই-নরক সাগরে ডুবাচ্ছি।
হিজাব ছাড়া চলছি মোরা-দেখিয়ে রেশমি চুল,
সাপের কামুড়ে কাটিবে কবরে-করেছি কত যে ভুল।
বুঝে না বুঝে কত স্পর্শে হয় যেনা-ভাবনার নেই কূল,
মাটিতে গাড়ায়ে দেহটি ডুবায়ে-শাস্তিতে হবো ব্যাকুল।
নারী তুমি ভেবো না শুধু-দেহের হয় যে পর্দা,
ঘরে বাহিরে কণ্ঠে তোমার-থাকবে নিচু মাত্রা।
ঘরে বাহিরে বৃদ্ধাবস্থায় গড়ো-তিন পদ্ধতির পর্দা,
মান মর্যাদা বৃদ্ধি হবে তখন- সকলেই পাবে শ্রদ্ধা।
গোসলখানা উঠান বারান্দা ঘর কিংবা ফাঁকা ছাঁদ,
তোমার কাপড়ে যৌনতা খুঁজে-লুকিও গোপন ফাঁদ।
পুরুষের এমন লোলুপ দৃষ্টি-পাবেনা যদিও চাঁদ,
উষ্ণ ছোঁয়ার স্পর্শ পেতে খুঁজে ভণিতায় ভাব।
পারিবারিক শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা-জীবনের প্রথম ধাপ,
অল্প বয়সে আদরে শেখাও-প্রাপ্ত বয়সের চাপ।
বিয়ের আগে বিয়ে পরে-পর্দার যত পাপ,
বড় ভাই বাবা স্বামী পাবেনা-এই অবহেলার মাফ।
রোজা শুধু ভুক্ষা থাকা নয়-সামান্য এই তবিয়ত,
পঞ্চ ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ করতে – দেখো ইসলামের মারেফত।
কামভাব উত্তেজনায় মনের খায়েশ-মিটায় মিথ্যে জগত,
পবিত্র মনে বেঁচে থাকা হোক-এই আমাদের নসিহত।
স্কুল মাদ্রাসা রাস্তা বাড়িতে-ধর্ষিত পাওয়া বিভৎস লাশ,
বিবেকের আদালতে আর হবো না-দুষ্ট নফসের দাস।
আছিয়া(০৮) শুধু ধর্ষিত হয়নি-ধর্ষিত হলো বাংলাদেশ,
এই নির্যাতনের গোপন ইতিহাসে-কলিজা কেঁপে নি:শেষ।
পঁচিশ সালের আলোড়ন-দেশজুড়ে ব্যভিচার ধর্ষণ,
পাপের অবিচারে ঘৃণ্য সমাজে-চোখের জলের বর্ষণ।
কেউ নেই এগিয়ে আসার-প্রতিবাদী কন্ঠে গর্জন,
ইসলামি অনুশাসন প্রতিষ্ঠায় হবে-প্রকৃতপক্ষে অর্জন।
সকল পুরুষ অন্ধ হলে-নারীর পর্দা যেমন ফরজ,
তেমনি নারী উলঙ্গ হলেও-নতদৃষ্টি রাখা পুরুষের ফরজ।
ইসলামী অনুশাসন মেনে চলবো-এই আমাদের আরজ,
এই সমাজে তৈরি না হয় যেন আর-বিকৃত ঐ মগজ।