কলমে: সাহেলা সার্মিন
মধুর ঘ্রাণে নাকি পিঁপড়া আসে
একটু ফেললেই তারা ফাঁসে!
নারী রূপে ঝুরে কতো নর
রূপ কুমারীর লাগি ঘুরে নরের বহর!
আগে গুরুজনে কইতো যা তা
বুঝতাম না তখন অতো ছাতামাথা!
এখনো মোরে ডেকে কয়
ইথারে বিথারে সুবাস ছড়াই,
আমি নাকি চন্দনি,
প্রেম ভিক্ষা মাগে কৃপাভরে
হয়েছে সে মনের খাঁচায় চির বন্দী!
কিভাবে কী হয়
মনে লাগে ভয়,বুঝিনা অত শত
যার সাথে ভালো করে কথা কই
সেই এসে লুটে কুন্দে আদরে নত!
যাচে প্রেম আরো
তুমি আর হইও না কারো!
ভালোবাসার বিরাট পাগলামি
মজনু যেমন ছিলো প্রেমের আসামি,
ফরহাদ! আরো আছে সম্রাট শাজাহান
তাজমহল দেবো বানিয়ে রবে কীর্তি অম্লান!
আমি নাকি এক ডিব্বা মধু
লিখে রাখি চিরতা তবুও,
ওষ্ঠ কোণে নেই হাসি
হয়ে গেছে কবে বাসি!
ঘর দেই ঝাট ধোয়া মোছার কাজ
নিজের নেই কোনো কিছু
করি ঝি এর কাজ
ক্ষুধায় পেটে পড়ে ভাজ
প্রেম প্রেম খেলা সে তো উচ্চাভিলাস!
তবুও আমারে বানায় রাধা
কৃষ্ণ হয়ে ধরায় ধাধা
আমি নিতান্তই সাদাসিধা!
আমার বাঁধায় নেই কোনো সাপোর্ট
আমি হয়ে গেলাম এক্সপোর্ট!
ঘুরে ঘুরে কাজ করি বারো বাড়ি
আজ উদাম দেহ হয়েছে বারোয়ারী!
আমার সাধ আহ্লাদের নেই কোনো দাম
আমি হয়েছি অন্যের হাতের খাম!
গৃহকর্তা খুলে একবার আরেকবার ছেলে
তবুও সকাল বিকাল তাচ্ছিল্য মেলে!
ঘরে অসুস্থ স্বামী অনাহারে থাকে ছেলেমেয়ে
এমনি করে নারী সচল থাকে শত ঘা খেয়ে!