রক্তে কেনা মানচিত্র
———————–
চেতনার পথে শুয়ে আছে অবহেলা
মানুষের প্রাণ বিনাশে করে উল্লাস
পাপ মুক্ত হয়না সমাজ
আধুনিকতায় হয় লুটপাট
বিত্তমানের ব্যবহারে জন্ম নেয় ঘৃণা
দায়িত্ববান লোকেরা করে অন্যায়ের সাথে মোটা অংকে চুক্তি।
নিষ্পাপ প্রাণের রক্তে স্নান করে আইনি মানুষ
দলবেঁধে আপন জনের সামনে হয় দর্শন
টাকার বিনিময়ে হয় বুলেট বিক্রি ও প্রাণনাশের প্রতিযোগিতা
মানুষ নামের চিল শকুনেরা নষ্ট করতে চায় রক্তে কেনা পবিত্র মানচিত্র।
প্রতিদিনের ভালোবাসা
——————————
জীবনের সব সময়ে তুমি কাছে এসেছো
অবিরাম প্রেমে করেছো বিরহ বিদায়
সুখ স্পর্শে এসেছে সফলতার জয়গান।
আমাদের মিলন বন্ধনে
নীরবতায় এসেছে সজীবতা
স্পষ্ট সমিরনে ছড়িয়েছে চারপাশ।
তোমার রূপের মোহে পেখম খুলে নাছে যৌবন
গুচ্ছ গুচ্ছ নিঃসঙ্গতা দূরে গিয়ে
জীবনে এসেছে থোকায়
থোকায় সুখ
সকালে রঙিন আলো জেগে উঠে প্রতিদিনের ভালোবাসা।
তুমি এসো
—————
তোমার সুখ সমাপ্তি শেষে তুমি এসো
তোমার মন্দ লাগায় হবো সাথী
অমাবস্যার রজনীতে তোমার সুখে জোসনাকে করবো নিমন্ত্রণ।
তোমার অমিমাংসিত স্বপ্নে জমিয়ে দেবো বাস্তব
নির্ঘুম রাতে ঘুম পাড়ানোর গল্পে এনে দেবো সুখের নিদ্রা।
তোমার ব্যর্থ নষ্ট সময় এনে দেবো অপ্রকল্পনীয় সুখ।
স্বপ্ন বিনির্মাণে
——————-
বেদনার অতল গহ্বরে সময় পার
শেষ হয়নি যুদ্ধ
দীর্ঘশ্বাসের আর্তনাদে হৃদয়ে রক্তের দাগ
প্রতিদিনের বৃষ্টির মতো মিশে যাচ্ছে মাটিতে।
প্রিয় হারানোর কান্না ভেসে যায় সুখের উল্লাস
বৈষম্যের ঘরে লাশের মিছিল
নাকে ভেসে আসে অন্যায়ের ধ্বংসস্তূপের পচাগন্ধ
অস্তিত্বে মিশে যাওয়া অন্ধকারে হারিয়েছি আলোর সঠিক পথ।
তবুও সঞ্চিত আশায় অপেক্ষা করি
সবাই মিলে আগামী সুন্দর বিনির্মাণে।
সুখের কবিতা
——————-
হেমন্তের নতুন বাতাসে শিহড়িত সংসার আঙিনা
জানালায় জোছনার ভিড়ে সুখের কোলাহল
প্রিয়তমার উষ্ণ আদরে ভ্রমণ করি সুখের পৃথিবী
তার শিহরণে বেদনা লুকাই!
সম্ভাবনার হাতছানিতে অতলস্পর্শী সুখ
সীমানা ছাড়িয়ে যায় সকালের কুয়াশা ভেদ করে সারাদিনের সময়।
আমি ভুলে যাই মনের গহীনে সকল দুঃখ প্রবাহ
অন্ধকারের ভেতর হতে যখন বেরিয়ে আসে অজানা সুখের পাপড়ি
ঠিক তখনই ভুলে যাই জীবনে একলা থাকার মিছে গল্প।
প্রতিদিন-৩১
—————–
সঠিক সিদ্ধান্তে অপারগতায় তুমি হাঁটছো সমান্তরাল
অথচ তোমার যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্তেই আসবে সুখ।
হয়তো তুমি ভাবছো তুমি সঠিক!
তোমার সব সিদ্ধান্তই আলোর মুখ দেখবে
বাস্তবের বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ত হবে তোমার সব ভাবনা।
আজ তোমার অপ্রয়োজনীয় বাক্যালাপে হতাশায় নিমজ্জিত আমাদের চারপাশ।
হেমন্ত
————–
শীত সেরে নিচ্ছে তার ঘুম
অপলক তাকিয়ে আছে গোধূলি রাতের আকাশে জোছনার নীলাভ সৌন্দর্য
তোমার কুমারী ভালোবাসা আমাকে ছুঁয়েছো
মনের ঘরে এনেছো প্রেম
তোমার সৌন্দর্যে করছি আলিঙ্গন।
তোমার গ্রাভিটিতে প্রকৃতির ক্যানভাসে আটকে যায় চোখ
তোমার মায়ায় হয়েছি বিভোর
রাতের পৃথিবীতে অন্ধকার ভেদ করে
মোহানীয় চাঁদের আলোয় তুমি এনেছো জোসনা রশ্মি।