অবসর
জীবিতরা মরার আগে, পায় না অবসর
যতই থাকুক সুখ যাপনের, বিলাসবহুল ঘর!
যতই থাকুক হাতের মুঠোয় রাজ
ততই আরও বাড়তে থাকে কাজ!
হোক না যতই দীর্ঘজীবী, হোক না যতই রুগি
শুয়ে বসেও বাজাতে চায়, বগলে ডুগডুগি!
শুয়ে বসে খাওয়াও একটা, দারুণ বিনোদন
ঘুমেও থাকে স্বপ্ন দেখার বিশেষ আয়োজন!
যতদিন না, ছুটে যাবে যমের গড়া বাড়ি
ততদিনই এটা-সেটা করবে নাড়ানাড়ি!
অবসর নেই, এই পৃথিবীর পরে
সে তো আছে অন্ধকার ওই ঘরে!
ঈর্ষা
প্রতিদিন ঘুম ভাঙতেই চোখে পড়ে; নরম সকালের ওপর পা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একদল বিবস্ত্র বাতাস! পদ্মার কিনারে আধমরা নলখাগড়ার ঝোঁপঝাড়গুলোও যেন জীবন্ত মানুষের মতো মাঝে মাঝে নড়ে নড়ে ওঠছে!
প্রতিদিন ঘুম ভাঙতেই চোখে পড়ে; একঝাঁক পাতিকাক বুক ফুলিয়ে মরণ পাখায় ভর করে উড়ে উড়ে মিশে যাচ্ছে টানা রোদের গায়; যে রোদে উত্তাল নরকের ঢেউ খেলছে অবিরাম! তবুও উড়বার বিরতি নেই তাদের!
এসব দেখতে দেখতে মনে মনে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি; আমি যেন বসে আছি জলে ভাসা মৃত রাজহাঁসের পাখনায় এবং ব্যস্ত আছি বিধাতার দেওয়া মগজ শানানোর কাজে!
আমি আরও আবিষ্কার করেছি; আমার মগজের ক্রিয়াকর্মগুলো আছড়ে আছড়ে যেন ছড়িয়ে পড়ছে সকল শ্রেণির মানুষের মগজে মগজে!
আমি আরও আবিষ্কার করেছি; এই মগজ থেকেই যেন তৈরি হচ্ছে ঈর্ষার তাণ্ডব, যে ঈর্ষার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হচ্ছে সাজানো গোছানো টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া!
আমি শেষ-পর্যন্ত আবিষ্কার করেছি; মানুষের মানবিকতা যেন মাইনাস ডিগ্রিতে পৌঁছে গেছে প্রায়!