০১- শিক্ষক কণ্ঠস্বর
মহান পেশা শিক্ষকতা
সবার মুখে শুনি,
তবে কেন প্রাথমিকে
শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণি।
প্রতিবেশী দেশের সাথে
জাপান সিঙ্গাপুরে,
প্রাথমিকের শিক্ষক আছেন
সবারই উপরে।
শিক্ষার যারা ভিত গড়ে দেয়
যে দেয় হাতে খড়ি,
সেই গুরুদের কন্ঠ রোধে
আমরা দেখাই ছড়ি।
যুগে যুগে করে যারা
শিক্ষক কণ্ঠ রোধ,
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তার
জেগে উঠুক বোধ।
মুক্ত রাখো কন্ঠ তাদের
উঁচু করে শির,
কথাতে নয় কাজেতে হও
বাদশা আলমগীর।
০২- শারদীয় চন্দ্র
আমার চেনার কথা নয়,
তবুও চিনেছি আমি
শারদীয় চন্দ্র আভায়।
ঘরের মধ্যে ঘর রাত্রি দ্বিপ্রহর,
নিদ্রাচ্ছন্ন আঁখিতে অস্ফুট ঠাওর।
সদ্য বৃষ্টি ঝরা কোলাহল স্তব্ধে,
ঝিঝি পোকা ও ব্যাঙের অসহ্য শব্দে
ক্রমশ বাড়ছে ভীতি সংশয়।
আচমকা এক প্রতিচ্ছবি জানালায় আসি,
নির্ভয়তা বাড়ায় হেসে অট্টহাসি।
বলে, লক্ষ্মীটি জানি
ঘুম হবে না আর চারটি চোখে,
চলো ঘুরে আসি চন্দ্রলোকে।
পরিচ্ছন্ন সবুজ পাড়ের নীল শাড়িতে
সেজেছে আসমান,
উষ্ণ অভ্যর্থনায় হাতছানি দেয়
জলাধার বুকে কাশবন।
টিপ করে জ্বলে ওঠে বাল্ব
চির পরিচিত সেই সুর ও ছবি
ম্রিয়মাণ হয়ে যায়,
শারদীয় উজ্জ্বল জোছনায়।
আকাশ ক্রমশ নীল হয়ে আসে
স্মৃতি টানা হেচড়ার বেদনায়।
০৩- শারদীয় চাঁদ বার্তা
আমার বাড়ির আঙিনাতে
শারদীয় চাঁদ,
হঠাৎ এসে বলল হেসে
শোনো হে ওস্তাদ।
আমায় নিয়ে লেখ তুমি
এমন ছড়া গান,
যে গান শুনে দুঃখী মনে
আসবে সুখের বান।
কষ্ট ভুলে হাসতে পারি
আমি সারাক্ষণ,
তাইতো আমি সবার কাছে
কত আপনজন।
তোমরা যদি আমার মত
সুখী হতে চাও,
হাসিমুখে পরের তরে
নিজেকে বিলাও।