হেমন্তের আগমনে
নীল শাড়িতে সেজে লাল সবুজের দেশে,
শরৎ রানীর কনে হেমন্ত দি আসে।
সেই খুশিতে মেতে সকাল দুপুর সাজে,
ব্যস্ত গায়ের বধু উঠোন বাড়ির কাজে।
রাতের আকাশ জুড়ে তারা ঝিলিমিলি,
মুক্তা শিশির ঘাসে হাসে দন্ত খুলি।
ভরা পুকুর ডোবায় চাঁদের আলো নাচে,
হাসনাহেনা ফোটে হিমেল বায়ের আঁচে।
পাকা ধানের ক্ষেতে ব্যস্ত গাঁয়ের চাষী,
নবান্নের উৎসবে সবার মুখে হাসি।
পায়েস পিঠা পুলি মিষ্টি খেজুর রসে,
গাঁয়ে পড়ে সাড়া রসনা বিলাসে।
জোনাকিরা জ্বলে ঝোপেঝাড়ের কোণে,
ঝিঁঝিপোকার গানে হারাই স্বপ্ন বনে।
ঘূর্ণিঝড় দানা
হেমন্তের দুপুরে
দানার ডানায় করে,
শীতের বার্তা এলো
বাংলার ঘরে ঘরে।
আকাশ মেঘে ভরে
কাঁপে সবাই ডরে,
গাছপালা সব ঝড়ে
রাস্তা ঘাটে পড়ে।
দানা মেলে ডানা
দিলো দেশে হানা,
বিপদ সংকেত দেখে
বাইরে যেতে মানা।
দুষ্টু পাখির ছানা
না শুনে মার মানা
বের হলো ঘর ছেড়ে
ঘুর্ণি এলো তেড়ে।
বৃষ্টি মুষলধারে
ঘূর্ণি হাওয়ার তোড়ে,
ঘর বাড়ি গাছপালা
ভাঙে দানা ঝড়ে।
সেই ছানাটি ফিরে
আর এলোনা ঘরে
না শুনে মার কথা
প্রাণ যে গেল ঝরে।