(১) দৃষ্টিভঙ্গি
আমার আসা কান্নায় জানাই
মরণ আমার তোমার কান্নায় জানে
আমি পাপী জান তুমি
পূণ্যময় জানি শুধু আমি
আমার বাহিরটা দেখ তুমি
আমার ভেতরটা দেখি শুধু আমি
তুমি দেখ নিজের স্বার্থ
আমি দেখি তোমার স্বার্থপরতা
তুমি দেখ বাস্তবতা
আমি দেখি পরাবাস্তবতা
তুমি দেখ তোমার কষ্টগুলো
আমি দেখি তোমার কষ্টের ভালোবাসা
তুমি দেখ আমার পাগলামি
আমি দেখি আমার সৃষ্টিশীলতা
তুমি আমায় উপহাস কর
আমি খুঁজি আমার খুঁত
তুমি বল আমার নিষ্ঠুরতার কথা
আমি বলি আমার দৃঢ়তার কথা
তুমি ভূল বুঝে দূরে থাকো
আমি ভালবাসি দূরে থেকে।
(২) মানুষ না পশু
বক পক্ষীও ভালোবাসা বোঝে
আমি মানুষ সত্যিই বুঝলাম না।
ঘরের কোণে ঘেউ ঘেউ করা পশুও বোঝে,
আমি মানুষ বুঝলাম না।
আমার বাড়ির উঠানে ঘুরে বেড়ানো,
মোগটিও তার খোপ চেনে,
আমি মানুষ সত্যিই চিনলাম না।
আমার গোয়ালের লাল গাভীও
নির্দিষ্ট পরিমাণ দুধ দেয় প্রতিদিন,
আমি মানুষ অবহেলা যত দ্বায়িত্বপালনে।
আছে যত প্রাণী মেনেই চলে নিয়ম,
আমি মানুষ অনিয়মকে করি নিয়ম।
ভালোবাসায় হিংস্র পশু হয় মানবিক,
আমি মানুষ রিপুর তাড়নায় হই হিংস্র পশু।
পিঁপড়ার দল নিয়ম মেনেই হয় সামাজিক,
আমি মানুষ নিয়ম ভেঙ্গে হই অসামাজিক।
খয়েরি-সাদা-কালো ছাগল সব চলে এক সাথে,
আমি মানুষ তুমিতে আমিতে করি ভেদাভেদ।
মারামারি খুন-খারাবি করছি অবলীলায়,
ভাগ্য দোষে তুমি রাজ আমি দাস।
মানুষ হলাম না সত্যিই!
(৩) ভূতের গল্প
ভূতের বীণে ওঝা নাচে
ভূতেরা সব থেমে থেমে
নৃত্য করে ভয়ংকর শব্দে
শাকচুন্নি বলছে
ভূতের মেলা চলছে
ভূতেরা সব একত্রে
মামদো ভূতের মিছিলে
মেছো ভূত গাইছে
গেছো ভূত চাইছে
কানা ভূত দেখছে
ভূতের মেলা
বিশৃঙ্খলা ভরা
আমি মানুষ
নাই হুশ
পরাভূত!