ভোলানাথ দত্ত
আমাদের গাঁয় বাড়ি ভোলানাথ দত্ত
হররোজ দ্যায় ডোজ, উপদেশ সত্য।
আরে আরে!! করো কী? এতো জোরে হাঁটেনা
তাড়া আছে বলি কী!! গরু দুটো মাঠে না?
তাড়া আছে তাই বলে, দৌঁড়াবি ধুপধাপ?
সাবধানের মার নেই, হেঁটে চলো চুপচাপ।
কতো পোঁকা- মাকড়ের আছে উৎপাত দংশিলে সাপে তুমি হবে কুপকাত।
ভোলানাথ দত্তের আছে বাজে অভ্যাস
সুরসুরি দিয়ে বলে সাব্বাস সাব্বাস।
কেউ তারে ভালো বলে কেউ বলে মন্দ
কারো সাথে কোনোদিন হয়নিকো দ্বন্দ্ব।
হাড্ডিসার ভোলানাথ গালে নেই গোস্ত
পানভরা মুখদিয়ে হেসে বলে দোস্ত।
পেট পিট একাকার আছে শুধু চামড়া
উপদেশ নিতে কভু ভুলি নাকো আমরা।
ঠ্যাং যেন নয় তা চিপচিপে কঞ্চি
বাহু দুটো মনে হয় পাটকাঁঠি ধঞ্চি।
কুঁজো বুড়ো ভোলানাথ বলে কিছু বোঝো কী
আমি বলি দাদু ভাই নুয়ে নুয়ে খোঁজো কি?
বয়স খুঁজি বয়স গেছে এপথে হারিয়ে
আদাব আদাব বলে হাত দ্যায় বাড়িয়ে।
ছড়ার খোঁজে
ছড়া খুঁজি গাঁও-গ্রামে
ফুল পাখিদের গানে
ভোর-প্রাতে আলোর গুঁড়োয়
ঝিকিমিকি তানে।
ছড়া খুঁজি মেঘের মাঠে
সাদা পরীর ডানায়
সফেদ দেয়ার পাঁচিল ফুঁড়ে
চন্দ্রে সালাম জানায়।
ছড়া খুঁজি গাঁয়ের হাটে
ঐ হাটুরের থলে
গোধূলিতে রক্তোমাখা
সর্য ডোবে জলে।
ছড়া খুঁজি কচানদীর
জেগে ওঠা তটে
সবুজ ঘেরা মাঠের মাঝে
একটি তরুণ বটে।
ছড়া কোথায়? ছড়া দেখি
গোলাপ হয়ে ফোটে
গন্ধমাখা ছড়াগুলো
কচি-কাঁচার ঠোঁটে।
কচানদীর তীরে
ঐ যে দেখো কচানদীর
তীরের কারুকাজ
সাদা কাশের মিলন মেলায়
হর্ষে দোলা সাজ।
সূর্য ডোবার দৃশ্যে দেখো
নীল লালীমার দোর
গোধূলিটা আঁকছে যেনো
বাংলামায়ের কোড়।
শঙ্খচিলের ওড়াউড়ি
বালিহাঁসের ভীর
কল্পনা নয় বাস্তবতার
কচানদীর তীর।