নবান্নের উৎসব
=========
হেমন্তের আকাশ টা আজ নীল
মেঘের ভেলায় করে ঝিলমিল,
মাঠে মাঠে সোনালী ধানের ঘ্রাণ
কৃষকের মুখে হাসি আর গান।
ক্ষেত ভরা ফসলের মাঠে
সোনালি রোদ মিটিমিটি হাসে,
উত্তরের হিমেল হাওয়ার স্পর্শে
প্রাণিকুল শীতে কাপেঁ থরেথথে।
বন বাদাড়ে পথে ঘাটে
শিউলি ঝরে বয়সের ভারে,
পদ্ম ফুলের সুবাসে শরতও
বিদায় নেয় পরন্ত বিকেল।
শিশিরে ভেজা ঘাসের ডগায়
উজ্জ্বল আলোর মুক্ত ছড়ায়,
রক্তিম সূর্যের আলোক আভা
পাখির কূজনে ভোরের বাতায়নে।
হেমন্তের নবান্নের উৎসব ঘিরে
বাউল গান আর বাঁশি বাজে,
কৃষানের উঠোনে উঠোনে
প্রকৃতি যেন সাজেঁ নতুন রঙে
সবুজে হলুদে মিশে মিশে।
প্রেমময় মালা
========
রাতদিন পোড়ামন কার যেন ছবি আঁকে
সারাক্ষণ চাই মন থাকি তার পাশে।
প্রেমের প্রজ্বলিত শিখাই দেখি রাঙা দুটি হাত ,
মনেপ্রাণে ভেবে ভেবে কেটে যায় সারা দিনরাত।
সে যে মনেপ্রাণে বেঁধে আছে মনোবীণার তারে,
পাবো বলো কি কখনও আমি ভালোবাসি যারে?
নির্জন নিরালায় বসে বসে ভাবি প্রেমময় মুখ,
প্রাণেমনে সবসময় দোলা দেয় ক্ষণিকের সুখ।
মিলনের আশা বুকেবেজে ওঠে না পাওয়া করুন সুরের গান,
কেন জানি এ পোড়ামনে তার জন্য এতো হৃদয়ের টান।
তারে নিয়ে মনে প্রানে সপ্ন জমা আছে কতো শত,
ভালোবাসা পাওয়ার সুখের আশা অন্তরে অবিরত।
ক্ষনে ক্ষনে নির্জনে প্রেমফুল দিয়ে গাঁথি প্রেমময় মালা,
কেন যেন তার লাগি পোড়া মনে বাড়ে অক্ষত জ্বালা।
নিথর হয়ে বসে থাকি দিবা নিশি ছোট্ট মাটির ঘরে,
ব্যথাভরা আঁখিতে করুন রোদনে ঝরে পড়ে বারি।
শত সহস্র বার হারিয়েছি প্রাণটাকে আমি তাঁর প্রাণে,
মোর হৃদয়ে ভালোবাসা বেঁধে আছে সুভাষিত ঘ্রাণে।
মনের মাঝে আছে আমার প্রেমের অনেক কথা জমা,
বলবো তারে সংগোপনে কাছে যদি পাই গো প্রানের প্রিয়তমা।
--------------------------
মোঃ জহুরুল ইসলাম খান
মুলাডুলী, ঈশ্বরদী,পাবনা