নীরব ঈদের খুশি
রোজার শেষে উঠলো চাঁদ,
নীল আকাশের বুকে।
তাই দেখিয়া ছেলে মেয়েরা,
গাইছে ঈদের সুখে।
হৈ-হুল্লোড় করছে তাঁরা,
করছে চেচামেচি।
ঈদের খুশি নতুন আনন্দ,
করবো বেশি বেশি।
কেউ বা কিনে নতুন জামা,
কেউ বা কিনে জুতা।
কেউ বা কিনে পাঞ্জাবি আর,
কেউ বা কিনে কুর্তা।
কেউ বা খাবে সেমাই ফিরনি,
কেউ বা খাবে পায়েস।
কেউ বা খাবে পোলাও গোস্তো
মিটিয়ে মনের আয়েশ।
গরীব চাষির মনটা দারুন,
ডুকরে উঠে কেঁদে।
সেমাই ফিরনি মিলবে না তাঁর,
থাকবে পেটের ক্ষিধে।
চাষির ছোট ছেলে মেয়েরা,
করছে শত আশা।
ঈদের খুশি নতুন জামা
বুনেছে মনে বাসা।
আনন্দরা ঈদের দিনে পরবে,
নতুন জামা টুপি।
ঈদের দিনে করবে ওরা,
মনের হরষ বহরুপি।
চাষির ভীষণ অর্থ অভাব,
নাই তো কোনো কাজ।
ছেলে মেয়েদের ঈদের জামা,
কেমনে কিনবো আজ?
চাষির পরনে ছেঁড়া কাপড়,
ছেলের মায়েরও তাই।
ঈদের খুশি কাপড় কেনার,
সামর্থ তার যে নাই।
বড় লোকদের ঈদের খুশি
আনন্দ উল্লাস হয়।
গরীব চাষির ঈদের খুশি,
চুপিচুপি নীরব রয়।
ঈদের ছড়া
ঈদ আসলে খোকা খুকু,
দারুণ খুশি হয়।
ঈদের ইমেজ থাকে তাদের,
ঈদের গীত কয়।
ঈদের খুশি নতুন জামা,
নতুন জুতা চায়।
ঈদের খুশি আনন্দে তারা,
নতুন গান গায়।
ঈদ আসলে হাসি খুশি
সকল খোকা খুকু।
ঈদ আসলে ছালাম পায়,
সোনার চাঁদ টুকু।
ঈদের পোশাক
ঈদের খুশি নতুন পোশাক,
কিনছে অনেক জনে।
গরীব বাবার মনটা খারাপ,
দেখছে তা দু নয়নে।
গরীব বাবা মায়ের কষ্টে
গড়া ছোট্ট পরিবার।
সল্প আয়ের বাবার সাধ্য নাই,
ঈদের পোশাক কিনিবার।
ফিরনি সেমাই মিলবে না,
গরিবের ঈদের দিন।
খুশির ছায়া পড়বে না তো,
ঈদের পোশাক ছিন।
পোলাও গোস্তো ছুঁই না হাতে,
তার খুব বেশি দাম।
ঈদের পোশাক পোলাও গোস্তো,
কিনতে মিলছে নাতো কাম।
মজুরি
কর্ম শেষে বিকেল হলে,
মজুরি যখন চাই।
মালিক এবার বলে ওরে,
আজ মজুরি নাই।
ছোট ছোট ছেলে মেয়ে,
পথ চেয়ে আছে।
বলবে বাবা কি এনেছো,
দাও না আমার কাছে।
চাল ডাল নাই তো ঘরে,
তেল লবণও নাই।
সকাল দুপুর উপোস আছি,
মৌরা কিছু নাহি খাই।
কষ্টে বাবা বলছে এবার,
ওরে আমার বাছা।
আজিকে আমার মজুরি নাই,
কেমনে করি বাজার?