ছোট্ট খোকা
-----------------
জোবায়ের ফারদিন ছোট্ট খোকা,
নয়তো সে যে বোকা।
সারাক্ষণ থাকে খেলায় মেতে,
দুষ্টুমি তে সেরা পাকা।
জোবায়ের ফারদিন দুষ্টমিষ্টি কথা বলে,
মিষ্টি মধুর হাসে।
মা শুনে হাসে খুশির হাসি,
সহপাঠীরা হাসে সাথে।
মায়ের কাজে সাহায্য করে,
নানা বায়না ধরে।
মায়ের কাছে ছলনা করে,
বায়না খোকা আদায় করে ছাড়ে।
বায়না পুরুন করে দেন মা,
খোকা ভালো ছেলে।
দুষ্টুমিতে থাকে মেতে,
লেখা পড়াও ভালো পারে।
লেখা ভালো অতি খোকার
অংকে ভালো পাকা।
পাঠশালাতে যায় তবে খোকা,
সঙ্গে নিয়ে বই খাতা।
---------------------------
এই বিধাতার খেলা
---------------------------
বয়স যখন বার বছর,
বাবা গেলো মারা।
আপন মনে করি যারে,
ছেড়ে যায় তারা।
আমি অনাথ এতিম শিশু,
এই নিয়তির খেলা।
যেখানে যাই পাই না ঠাঁই,
পাই শুধু অবহেলা।
মা জননী নয়নমণি,
হৃদয় ভরা ধন।
শত বাঁধা পেরিয়েও মায়ের
কান্দে তাহার মন।
এই ধরাতে আপন জন,
হলো বাবা মা।
তাদের মতো এতো আপন,
আর কেউ হয় না।
অনাথ এতিম বলে তাহারে,
না করি অবহেলা।
কষ্টে বাড়ে অনাথ শিশু
এই বিধাতার খেলা।
------------------
শীতের পিঠা
------------------
শীতকালে মা বানায়,
নানা রকম পিঠা।
শীতের সকালে পিঠা খেতে,
দারুণ লাগে মিঠা।
খেজুর রসের পাটালি গুড়,
নতুন চালের কুড়ো।
সব মিশিয়ে বানায় মা,
পিঠা পুলি কতো।
শীতের সকালে মিষ্টি রোদে,
মিষ্টি পিঠা খেতে।
মজার মজার গল্প জুড়ি,
বসে মাদুর পেতে।
--------------------
ফুলের শোভা
--------------------
ফুল ফুটছে ফুল বাগিচায়,
হরেক রঙের ফুল।
গোলাপ জবা বেলি,চামেলি,
হাওয়ায় দুল দুল।
হাসনাহেনা রজনীগন্ধার,
অপরূপ দৃশ্য পাট।
হৃদয় মাঝে একে দিয়েছে,
ফুলের শোভার আর্ট।
সাদা লাল হলুদ রঙের,
শোভিত মনোমুগ্ধকর।
এসব ফুলের সুবাস ছড়াক,
মন প্রাণ আকৃষ্ট কর।
ফুলের শোভায় শোভিত মৌ,
উড়ে চলে ফুলে ফুলে।
প্রজাপতিরা ফুলের শোভায়,
বেড়ায় উড়ে উড়ে চলে।
----------------
উচিত কথা
----------------
উচিত কথা বলিশ না,
দোস্ত বেজার হবে।
মনের ভেতর আছে যাহা,
সয়ে যা শুধু নিরবে।
এই সমাজে উচিত কথা,
বল্লেই হয় দোষ।
উচিত কথা ল্লে কেউ কেউ,
করে ফোঁস ফোঁস।
উচিত কথার ভাত কখনো,
এই সমাজে নাই।
সৎ সাহসী উচিত কথার,
কেন তবে ভয় পাই?
----------------------------------
খোকার পড়া সফল হবে
----------------------------------
পড় খোকা মনটা দিয়ে,
মনের খুব যত্ন করে।
পড়ে যাঁরা মন টা দিয়ে,
তাহারাই তো দেশটা গড়ে।
দেশ গড়তে পড়তে হবে,
দেশকে ভালোবাসতে হবে।
দেশের সম্মান জাতির সম্মান,
সবার উপর রাখতে হবে।
মানব সেবা করতে হবে,
বেশি বেশি পড়তে হবে।
শিষ্টাচার ভদ্রতা বজায়,
রেখে মোদের চলতে হবে।
তবেই দেশের মাটি মানুষের,
ভাগ্যটা যে পাল্টে যাবে।
দেশের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ
খোকার পড়া সফল হবে।
----------------------
হাসি কান্না ভরা
----------------------
কখনো আসে দুঃখ বেদনা,
কখনো আসে সুখ।
কখনো আসে হাসি কান্না,
আনন্দ উল্লাসে মুখ।
কখনো আসে অনেক বিপদ,
কখনো আসে আপদ।
কখনো বুকে সাহস জোগায়,
দুর হয়ে যায় বাবদ।
কখনো আসে প্রচন্ড ঝড়,
কখনো বৃষ্টি ঝরে।
কখনো আকাশে কালোমেঘ গুলো,
চলে যায় দুরে সরে।
কখনো পাখিরা মুক্ত-স্বাধীন,
ডানা মেলে তারা উড়ে।
অনি আর প্রজাপতিরা মিলে,
ফুলে ফুলে বেড়ায় ঘুরে।
কখনো মাঝি ভাই পাল তুলে,
নৌকা ছেড়ে চলে।
গায়ের বধুরা ঘোমটা দিয়ে,
গায়ের কথা যায় বলে।
মানুষের জীবন সুখ দুঃখ,
হাসি কান্না ভরা।
আনন্দ উল্লাস হাসি কান্নায়
এই পৃথিবী গড়া।
----------------------------
মেঘ পরী'দের দেশে
----------------------------
খোকা বসে গোমড়া মুখে,
রাগ করেছে কিসে?
নীল আকাশে যাবে খোকা,
মেঘ পরীদের দেশে।
নীল আকাশে নীলের দেশে,
মেঘ পরীরা মিলে।
খোকায় নিয়ে মেঘপরীরা
মেঘ মেলাতে চলে।
সেথায় খোকা বেজায় খুশি,
বেড়ায় হেসে খেলে।
খানিক পরে মেঘ পরীরা,
ভীষণ জমাট বাঁধে।
খোকা ভয়ে বলছে এখন,
যাবো মায়ের কাছে।
নীল আকাশে আসবো না
---------------------------
টুনটুনি পাখির গান
---------------------------
ডালিম গাছে পাতার ফাঁকে
ছোট্ট টুনটুনিরা ডাকে।
টুন টুন করে গায় গান তারা,
লেজ ঘুরিয়ে ফের নাচে।
সন্ধ্যা হওয়ার আগ পযর্ন্ত,
খোকা অপেক্ষায় আছে।
ডালিম গাছে টুনটুনি আবায়,
খোকা যাবে তার কাছে।
খোকা বলে টুনটুনি পাখি,
তোমা গানের সুর ভারি মিষ্টি।
তাই তো আমি তোমার গানে,
পাই যেন সেরা পরিতৃপ্তি।