হেমন্ত বেলায়
হেমন্ত বেলায় ঘাসের ডগায়,
শিশির ঝরে ভোরে।
রবির আলোতে শিশিরগুলো,
মুক্তো হয়ে জ্বলে।
সবুজের দেশ বাংলাদেশ,
সবুজের হয় না শেষ।
মাঠে মাঠে গিয়েছে ভরে,
সোনালী ধানে বেশ।
হেমন্ত বেলায় কৃষক খুশি,
আপন আপন মনে।
মনের সুখে কৃষক কাটে ধান,
বেলা চলে যায় সনে।
হেমন্ত বেলায় ঘরে ঘরে,
নবান্নের আনন্দ উৎসব।
নতুন ধানের চালের পিঠা,
খেতে দারণ লাগে মিঠা।
হেমন্ত বেলায় উঠান পারে,
মিষ্টি রোদে বসে।
বুড়ো দাদু চা পিয়ায় আর,
জীবনের হিসেব কষে।
চড়ুই পাখির বিয়ে
ঘরের চালে ছাদে হবে,
চড়ুই পাখির বিয়ে।
তা-ই শুনিয়া খোকা নাচে,
নাচে ময়না টিয়ে।
দোয়েল নাচে ফিঙে নাচে,
নাচে শ্যামা পাখি।
তারি সাথে টুনটুনিটাও,
নাচে থাকি থাকি।
হলদে পাখি এলো এবার,
গায়ে হলুদ দিবে।
বাবুই পাখি এলে চড়ুই,
বরণ করে নিবে।
ফিঙে পাখি
ফিঙে পাখি ফিঙে পাখি,
কোথায় থাকিস বলত দেখি।
কাকের সাথে ভাব জমিয়ে,
মনের কথা বলিস নাকি?
ফিঙে পাখি ফিঙে পাখি,
ডানা মেলে উড়ে যাবি।
হেমন্তের নতুন ধানে তুই,
প্রতি ঘরে নবান খাবি?
ফিঙে পাখি ফিঙে পাখি,
কাজল কালো রূপটা দেখি।
কালো রঙের শাড়ি পরে.
বেড়াস তুই বিশ্বভূবন ঘুরে।
ফিঙে পাখি ফিঙে পাখি,
ফুরুত করে উড়িস নাকি?
খোকা তোকে কাছ ডাকে।
খোকার বাড়ি আয়তো দেখি।
——————————
মোঃ জাবেদুল ইসলাম
রমনীগঞ্জ, বড়খাতা
হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।