০১- অতিথি পঙ্খী
অতিথি পাখির দল
আসতো মোদের বিলে
ঝাকে ঝাকে লক্ষ লক্ষ
হর্ষ পেতাম দিলে।
আজও আসে পাখির ঝাঁক
তুলনায় কম,
আগের আনন্দ নেই
আটকে আসে দম।
বালিহাঁস, কাইমা পাখি
আজও চোখে পড়ে,
কিন্তু আগের মতো
নেই সারে সারে।
অসাধু বাবুর দল
বন্দুক নিয়ে ঘাড়ে,
আসতো মোদের বিলে
বিহঙ্গ শিকারে।
সহস্র পঙ্খী তারা করতো শিকার,
তাদের কাছে এটাই নাকি হর্ষ বিহার।
অসাধু বাবুর দল
আজও বিলে আসে,
নির্বিচারে পঙ্খী মারে
মাংস খাবার আশে।
তারা সব অফিসার
চেপে আসে গাড়ি,
নন্দ ভরে পঙ্খি মেরে
নিয়ে যায় বাড়ি।
তাইতো শংকিত বিহগ
আর না আসে বিলে,
যা ও আসে খুব কম
হেরি অক্ষি খুলে।
——————————————-
০২- আল্লাহকে শুধাও
লোকের কাছে চেওনা সখা
আল্লাহর কাছে চাও,
দিবানিশি চাওয়ার কথা
আল্লারে শুধাও।
না চাইতেই দেয় তোমারে
মেঘ বৃষ্টি রোদ,
হাওয়া কিরণ দেয় তোমারে
করেনা গতিরোধ।
তারই খাবার খেয়ে থাকো
মহী মাঝে বেঁচে,
সে ই মেটাবে জরুরত
আর কে বা আছে?
খাবার চাও আল্লার কাছে
আরো চাও টাকা,
খাদ্য টাকা সে-ই দেবে
ফেরাবে না ফাঁকা।
টাকা, খাবার চাইতে বেশি
সুস্থতা দামী
খোদার কাছে সেটাই চাও
দিবে হৃদয়যামী।
সুস্থতা জগৎ মাঝে
শ্রেষ্ঠ নেয়ামত,
সেই সুুখী পৃথিবীতে
যে পায় এ-ই কুদরত।
ধনের চেয়ে টাকার চেয়ে
সুস্থতা ভালো,
সুস্থতা ভালো কিনা
অসুস্থ কে বলো।
সুস্থ লোকের কাছে
সুস্থ মূল্যহীন,
অসুস্থ লোকের কাছে
মূল্য কঠিন।
———————————————-
০৩- দল করলো ভাগ
গাঁয়ের সরল লোক
পেয়েছে নব্য চোখ
দিনে দিনে হচ্ছে সচেতন,
তারাও দলের সাথে
নেতা-নেত্রী সাজে
দর্প ভরে করে আসফালন।
তারাও দেখায় বাহাদুরি
দলের নামের জড়াজড়ি
তারাও আজ বনে যায় নেতা,
আগে ছিল গাঁয়ের মোড়ল
সবাই ছিল সহজ সরল
ছিল নাকো দল নামের ছাতা।
দেখি আমি আজকাল
শহর থেকেও জঞ্জাল
গাঁয়ে বেশি দলের দলাদলি,
ভাগ হচ্ছে গাঁয়ের লোকে
ভিন্ন ভিন্ন দল থেকে
একসঙ্গে নেই চলা চলি।
এই কোন্ কাল এলো
বিএনপি আর লিগ হলো
গাঁয়ের মানুষ হলো ভাগাভাগি,
সেই কারণে দেখা যায়
গাঁয়ে নাই ভাই ভাই
মাঝে মাঝে দেখি লাঠালাঠি।
দলের তরেতে তারা
অকারনে পড়ে মারা
দলে দলে করে মারামারি,
এ ওকে হিংসা করে
সুযোগ পেলে ধরে মারে
কখনো বা পুড়িয়ে দেয় বাড়ি।
———————————————–